মাদক পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফি চালাত টেলিগ্রাম, কাঠগড়ায় পাভেল

সম্প্রতি ফ্রান্সে পা রেখেই গ্রেফতার হয়েছেন টেলিগ্রাম কর্তা পাভেল দুরভ। তাঁর বিরুদ্ধে ‘সংগঠিত’ অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থা। মেসেজ পাঠানোর অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’-এর…

Telegram app founder got alligation of child pornography through app in France

সম্প্রতি ফ্রান্সে পা রেখেই গ্রেফতার হয়েছেন টেলিগ্রাম কর্তা পাভেল দুরভ। তাঁর বিরুদ্ধে ‘সংগঠিত’ অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থা। মেসেজ পাঠানোর অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’-এর কর্তা পাভেল দুরভের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধে জড়িত থাকার ‘প্রাথমিক অভিযোগ’ এনেছে ফ্রান্সের তদন্তকারী সংস্থা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তিনি মাদক পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফি-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্ম চলতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ফ্রান্সের আদালত জানিয়েছে, এই সব অপরাধমূলক কার্যকলাপ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন ‘টেলিগ্রাম’ (Telegram) কর্তা।

হাসিনা করেছিলেন জামাত ‘নিষিদ্ধ’, ড. ইউনূসের সরকার দিচ্ছে আইনি স্বীকৃতি

   

বর্তমানে ফ্রান্সেই বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছেন পাভেল (Pavel Durov)। টেলিগ্রাম (Telegram) অ্যাপের মাধ্যমে মাদক পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফি ও একাধিক অনৈতিক কাজ পরিচালিত হত বলে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার।

২০১৩ সালে বাজারে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও whatsapp এর মতন একাধিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ঠিক তখনই এই মার্কিন সাইটগুলির চোখে চোখ রেখে পাল্টা তোর সঙ্গে নেটওয়ার্কিং অ্যাপ টেলিগ্রাম চালু করেন রুশ বংশোদ্ভূত পাভেল।

পাকিস্তানে বাস থেকে ২৩ যাত্রীকে নামিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা করল জঙ্গিরা

অল্প কিছুদিনের মধ্যে হু হু করে জনপ্রিয়তা বাড়লেও বিপদে পড়তে হয় সেই সময় ২৯ বছরের যুবককে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নজরে পড়েন তিনি। রাশিয়ার দাবি টেলিগ্রামের সমস্ত তথ্যভাণ্ডার বা ডেটাবেস রুশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে হবে অন্যথায় বন্দী করা হবে পাভেলকে। বিপদ বুঝেই সতর্ক হয়ে যান তিনি। রাশিয়া ছেড়ে পাড়ি দেন বিদেশে। সোজা চলে আসেন দুবাইতে। সেখান থেকেই নিজের ব্যবসার কাজকর্ম পরিচালনা করছিলেন। জনপ্রিয়তাও বাড়ছিল তাঁর।

কানাডায় বিদেশি চাকরিতে রাশ, বিপদে ভারতীয়রা

তবে সম্প্রতি দুবাই থেকে ফ্রান্সে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো শনিবার ফ্রান্সে পা রেখেছিলেন পাভেল। তারপরেই গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে। আরে পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে প্যারিসের রুশ দূতাবাস। হয়তো নিজের ঘর শত্রু কে দেশে ফেরাতেই রাশিয়া কি তৎপর হয়ে উঠল? প্রশ্ন উঠছে এমনই। অথবা পাভেলের কাছে রাশিয়া সম্পর্কে কোন গোপন তথ্য রয়েছে যে কারণে যেন তেন প্রকারেন তাঁকে পেতে চাইছে পুতিন প্রশাসন। এরমধ্যে পাভেলের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের তোলা অভিযোগ তাঁকে আরও বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।