আমেঠিতে গোহারা হেরেও তৃপ্ত স্মৃতি ইরানি! ব্যাখ্যা করলেন ‘প্রকৃত জয়’ রহস্যের

কংগ্রেসের চিরকালের দুর্গ হিসেবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশে আমেঠি। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে রাহুলের কাছে ১ লক্ষের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তবে গোটা দেশকে চমকে…

BJP leader Smriti Irani is not ashamed of being defeated in Amethi reason explained itself, আমেঠিতে গোহারা হেরেও তৃপ্ত স্মৃতি ইরানি! ব্যাখ্যা করলেন 'প্রকৃত জয়' রহস্যের

কংগ্রেসের চিরকালের দুর্গ হিসেবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশে আমেঠি। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে রাহুলের কাছে ১ লক্ষের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তবে গোটা দেশকে চমকে দিয়ে ২০১৯ সালে রাজীবপুত্রকে আমেঠিতে ধরাশায়ী করেছিলেন খোদ মোদীর আশীর্বাদধন্যা প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি দলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পাঁচ বছরেই পালাবদল। কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মার কাছে চলতি বছরের লোকসভা ভোটে পরাজিত হয়ে আমেঠিতে স্মৃতি হয়ে যান ইরানি। এই হারে অবশ্য লজ্জার কিছু নেই বলেই মনে করেন আমেঠির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। উল্টে গত পাঁচ বছর ধরে আমেঠিতে তাঁর উন্নয়ন কাজেই নিজের সাফল্য ও তৃপ্তি লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি।

এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে স্মৃতি উরানি বলেছেন, ‘নির্বাচন আসবে এবং যাবে। আমেঠিতে আমার পরাজয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমার আসল জয় হল ১ লক্ষ পরিবার এখন তাদের নিজের বাড়িতে বসবাস করছে। ৮০ হাজার বাড়িতে এখন বিদ্যুৎ রয়েছে এবং ২ লক্ষ পরিবার প্রথমবার গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছে।’

   

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, যখন তিনি প্রচার ও সাংসদ হয়ে আমেঠিতে এসেছিলেন তখন ভোটাররা অভিযোগ করেছিলেন যে গত পাঁচ বছর ধরে সাংসদকে এলাকায় দেখা যায় না। সেই অভিযোগ সাংসদ স্মৃতির বিরুদ্ধে নেই। যথাসম্ভব তিনি আমেঠির বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছেন। মানুষের সেবা করার চেষ্টা করে গিয়েছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় তিনি আমেঠিতে একটি বাড়িও কিনেছেন বলে জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগে টানা তিন মেয়াদে আমেঠি ছিল কংগ্রেসের দখলে। ফলে স্মৃতি মন্তব্য পরোক্ষে রাহুল গান্ধীকেই খোঁচা বলে মনে করা হচ্ছে।

৬ ইঞ্জিন-২৯৬ কোচ, দৈর্ঘ্য সাড়ে প্রায় ৩ কিমি! জানেন ভারতীয় রেলের এই ট্রেনের নাম?

আমেঠিতে নির্বাচনী লড়াইটা চ্যালেঞ্জ আকারেই নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন স্মৃতি। বলেন, ‘২০১৪ সালের ২২ মার্চ, আমি রাত ১১ টায় রাজনাথ সিংয়ের কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছিলাম। বলা হয়েছিল যে, আমাকে আমেঠিতে যেতে হবে এবং সেখান থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমি এটি নিয়ে কোনও আপত্তি করিনি। উল্টে চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়েছিলাম।’

স্মতির সংযোজন, ‘যখন আমি আমেঠিতে গিয়েছিলাম, দেখলাম ৪০টি এমন গ্রাম রয়েছে যেখানে স্বাধীনতার পরে কোনও রাস্তা তৈরি করা হয়নি। গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২৪), আমি এক লক্ষ পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরি করেছি, ৩.৫ লক্ষ শৌচালয় তৈরি করেছি এবং ৪ লক্ষ মানুষকে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মানের সঙ্গে যুক্ত করেছি। উজ্জ্বালা প্রকল্পে প্রায় ২ লক্ষ পরিবার প্রথমবারের মত গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছে।’

ভোটে হারলেও স্মৃতি ইরানিকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা ছিল। এখন গুঞ্জন যে, দিল্লির নির্বাচনের জন্য তাঁকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করা হতে পারে। এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে, স্মৃতি প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং জানান, জনগণের সেবা করা সর্বদা একটি বিশেষাধিকার। বলেন, ‘জনগণের সেবা করা সবসময়ই একটি বিশেষত্বের বিষয়। আমি তিনবার সাংসদ হয়েছি এবং পাঁচ-ছয়টি বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছি। আমি বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি এবং দলের জাতীয় সম্পাদকও ছিলাম।’