হাইকোর্টের অনুমতি মিলতেই শ্যামবাজারের পর ধর্মতলায় ধরনার ডাক BJP-র

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংসভাবে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বর্তমানে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। মহিলা চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশায় দিকে দিকে…

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংসভাবে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বর্তমানে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। মহিলা চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশায় দিকে দিকে পথে নেমেছে মানুষ। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলও। বিজেপি (BJP), কংগ্রেস এমনকি তৃণমূলও রাজপথে নেমে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। কিছুদিন আগেই এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজারে কয়েকদিন যাবৎ ধর্ণা কর্মসূচিতে বসেছিল এ রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

এরপর সম্প্রতি বুধবার ১২ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। যে ধর্মঘট ঘিরে এদিন দিকে দিকে অশান্তির ছবি ফুটে ওঠে। এদিন বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধের সাথে সাথে ট্রেন অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তবে বঙ্গ বিজেপির এসব কর্মসূচি মিটতে না মিটতেই ফের আর জি কর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন কর্মসূচির ডাক দিল বিজেপি।

   

শ্যামবাজারের ধরনা কর্মসূচির পর এবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ঘোষণা করল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জানা যাচ্ছে, প্রথমে পুলিশ অনুমতি না দিলে পরে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি।

এরপর আদালত ওয়াই চ্যানেলে ধর্ণার অনুমতি দেয় রাজ্যের গেরুয়া শিবিরকে। তবে সেই সঙ্গে আদালতের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, কোন অবস্থাতেই সেই মঞ্চে এক হাজার জনের বেশি থাকা যাবে না। জানা গেছে, ২৯ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এই অবস্থান বিক্ষোভ চালাবে বঙ্গ পদ্ম শিবির।

কিন্তু এই মঞ্চে বিজেপির কোন কোন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আপাতত আজকে রাজ্যবাসীর নজর রয়েছে বিজেপির এই ধর্ণা কর্মসূচির দিকে। তবে এই কর্মসূচিকে ঘিরে ফের রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন করে চাপানোতর সৃষ্টি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।