৭ বছরের অপেক্ষার অবসান! হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যাপক নিয়োগ শুরু এসএসসি-তে

রাজ্য সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নিয়োগের (SSC)প্যানেল বাতিল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বারংবার মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের (SSC)। আর এবার সেই শিক্ষায়…

short-samachar

রাজ্য সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নিয়োগের (SSC)প্যানেল বাতিল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বারংবার মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের (SSC)। আর এবার সেই শিক্ষায় নিয়োগের ক্ষেত্রেই কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট (SSC)। যার ফলে দীর্ঘদিনের চাকরিপ্রার্থীরা আবারও আশায় বুক বাঁধছেন।

   

২০১৫ সাল থেকে উচ্চ-প্রাথমিকের নিয়োগ প্যানেল নিয়ে জটিলতার শুরু। পাঁচ বছর পরে ২০২০-তে গোটা নিয়োগের প্যানেলটাই বাতিল হয় হাইকোর্টের নির্দেশে। নিয়োগ প্রক্রিয়াতে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সে সময় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পাকাপোক্ত প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে ১৪৬৩ জনকে এই প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি।

পরে একবার নয়, পরপর চার বার এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখে এসএসসি। শেষমেষ তাদের তদন্তে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও অভিযোগ ওঠে যে, সঠিক নিয়ম মানেনি এসএসসি। এবার আদালতে নির্দেশে ওই বিতর্কিত ১৪৬৩ জনসহ মোট ১৪ হাজার ৫২ টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য নতুন মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।

দশদিনের মধ্যে ধর্ষণবিরোধী বিল পাশ করে রাজভবনে পাঠাবো, কড়া বার্তা মমতার

আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই মেধালিকা প্রকাশ করতেই হবে এসএসসিকে। তার পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে। অর্থাৎ আগামী দু মাসের মধ্যে এই ১৪ হাজার ৫২ টি শূন্য পদের নিয়োগ সম্পন্ন করতেই হবে এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।

এর আগে সংরক্ষণ নীতি না মানা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল এসএসসির বিরুদ্ধে। তফশিলি জনজাতিদের সংরক্ষণ এবং মহিলাদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত ত্রুটি ছিল বলেও দাবি করেছিলেন মামলাকারীরা। ফলে এবারে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।

ঘটনাচক্রে আদালতের এই নির্দেশ দেওয়ার দিনই নিয়োগ দুর্নীতির মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। মেয়ো রোডে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের সভাতে শিক্ষার দুর্নীতির মামলার নিষ্পত্তি নিয়ে সরব হয়েছেন অভিষেক। তার বক্তব্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচার ব্যবস্থার ফলেই দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ সংক্রান্ত জট অব্যাহতই থেকে যাচ্ছে।

আতঙ্কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, আরজি কর কাণ্ডে বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’

ঘটনাচক্রে অভিষেক যখন এই বক্তব্য রাখছেন তখনই হাইকোটে এই নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সাত বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা আপাতত আশায় বুক বাঁধছেন। আশ্বিনের শারদপ্রাতে দীর্ঘদিনের অপেক্ষা করে থাকার সুসময় ফেরার আশাতেই তাদের মুখে আপাতত যুদ্ধজয়ের হাসি।