ধর্ষণ বিরোধী আইন আনার দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলনের হুঙ্কার অভিষেকের

বিজেপির ডাকা বনধকে সর্বনাশা বলে আখ্যা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Ban। TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপিকে আজ মেয়ো রোড থেকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিষেক। তিনি বলেন,…

বিজেপির ডাকা বনধকে সর্বনাশা বলে আখ্যা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Ban। TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপিকে আজ মেয়ো রোড থেকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিষেক।

তিনি বলেন, ‘বনধ ডেকে বাংলাকে অচল করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু ধর্মঘট কীভাবে প্রতিহত করতে হয় মানুষ তা জানে।’ আরজি কর ইস্যুতে অভিষেক বলেন, ‘আরজি কর ইস্যুতে রাজনীতি হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি হচ্ছে। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতন বেশি। ক্ষমতা থাকলে ধর্ষণবিরোধী কড়া আইন আনুক কেন্দ্র। কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়নি, জবাব দিতে হবে সিবিআইকে।’

   

আজ বুধবার একের পর এক ইস্যুকে টেনে এনে মোদী সরকার তুলোধোনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। বিজেপির বাংলা বনধ নিয়ে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই কেন ধর্মঘট? যাদের আমলে উন্নাও, হাতরস, কাঠুয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে তাঁদের থেকে কিছু শিখব না। ওরা বলছে দাবি এক দফা এক মমতার পদত্যাগ। কিন্তু আমি বলছি, দাবি এক দফা এক ধর্ষণ বিরোধী আইন। ‘

বুধবার মেয়ো রোড থেকে ধর্ষণ বিরোধী আইন আনার দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলনের হুঙ্কার দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মোদী সরকার রাতারাতি লকডাউন, নোট বাতিল করতে পারে কিন্তু কেন ধর্ষণ বিরোধী আনছে না। যারা আরজি কর-এর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাই।’

তৃণমূল কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, ‘বিজেপি মহিলাদের শোষণ করছে। যারা মাত্র কয়েকটি ভোটের জন্য দিল্লির প্রভুদের সামনে ২০০০ টাকায় সন্দেশখালির মহিলাদের সম্ভ্রমকে বিক্রি করেছিল। উন্নাও, হাথরাস, বদলাপুরের মতো ঘটনা যে পার্টিতে ঘটেছে, সেই দলের নজরদারিতে নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই। তাদের কাছ থেকে আমাদের লেকচার দরকার নেই। বিজেপিতে আপনি ধর্ষক, গুন্ডা, গুন্ডা পাবেন।’ 

তিনি বলেন, ‘বিজেপি প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছে। আমি তাদের সাহস দিচ্ছি অমিত শাহ বা নাড্ডার কাছে গিয়ে ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে। কিন্তু তারা তা করবে না, কারণ বিজেপি এমন একটি দল যেখানে আপনি বেশিরভাগ ধর্ষক, গুন্ডা, গুন্ডা খুঁজে পাবেন। এটাই বিজেপি।