বনধ ঘিরে উত্তেজনা, বাড়ি থেকে গ্রেফতার সজল ঘোষ, আটক লকেট চট্টোপাধ্যায়ও

আজ বিজেপির বনধকে (BJP Bengal Bandh) ঘিরে দফায় দফায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে বাংলাজুড়ে। এদিকে অশান্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।…

আজ বিজেপির বনধকে (BJP Bengal Bandh) ঘিরে দফায় দফায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে বাংলাজুড়ে। এদিকে অশান্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। আরজি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষানবিশ মহিলা চিকিৎসকের নৃশংসতার ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র সমাজের পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের উপর পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদে বুধবার রাজ্য বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বঙ্গ বনধ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

আজ সকালে সজল ঘোষের বাড়ি আটকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সকাল থেকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামা বিজেপি সমর্থকরা হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশন-সহ একাধিক জায়গায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত করেন। বনধ সমর্থকরা বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত করে। দিকে দিকে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে আজ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

   

এদিকে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপির অনেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছেন হুগলির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আজ পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার কিচ্ছু হবে না, যত মানুষকে আটক করা হবে, তত বেশি মানুষ প্রতিবাদে সামিল হবেন। এটা জনগণের ক্ষোভ এবং তারা রাস্তায় রয়েছে। পুলিশ মানুষকে আটক করতে পারে, কিন্তু ধারণাটি নয়। “

এছাড়া কলকাতার শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভের অভিযোগে গ্রেফতার ৭ বিজেপি কর্মী। বাংলার বনধের অংশ হিসেবে নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। মিছিলে যোগ দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। প্রতিবাদে সামিল হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি তথা বিজেপি সভাপতি। ১২ ঘণ্টার  বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।