‘এই জমায়েত বেআইনি…’পুলিশ-জনতা খন্ডযুদ্ধে মাইকে ঘোষণা পুলিশের

নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhiyan) উত্তাল কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতি। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বানে নবান্ন অভিযানের সামিল হয়েছে হাজারও মানুষ। তাঁদের দাবি একটাই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।…

police decleared bnabanna abhiyan is illigal amid tension

নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhiyan) উত্তাল কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতি। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বানে নবান্ন অভিযানের সামিল হয়েছে হাজারও মানুষ। তাঁদের দাবি একটাই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল থেকেই নবান্ন এবং হাওড়া সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরের মুড়ে ফেলেছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। ব্রাবন রোড ফরসোর রোড হাওড়া ময়দান সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ছয় হাজারেরও বেশি পুলিশ বাহিনী (West bengal police)।

নবান্ন অভিযানে সতর্ক পুলিশ, মাঠে নামানো হয়েছে রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্তাদের

   

কিন্তু বেলা বাড়তেই বিক্ষোভকারীদের ঢল নেমে আসতে থাকে রাস্তায়। একের পর এক দলে বিভক্ত হয়ে তারা রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে পুলিশের ওপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। ঘটনা বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। হাওড়া চন্ডীতলা থানার আই সিও এই ঘটনায় আহত হন। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

ইউপিএসসি প্রেলিম পাস করলেই ১ লক্ষ টাকা, দিচ্ছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী!

বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই সংঘাত চলতে থাকে। কোন কোন জায়গায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। আর ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের পিছু হটতে বাধ্য করছে পুলিশ। এমন অবস্থায় বিক্ষোভ চলাকালীনই এই জমায়েত বেআইনি বলে লাগাতার ঘোষণা করতে থাকে পুলিশ বাহিনী। ব্যারিকেট এলাকাগুলির বিভিন্ন দিকে মাইক লাগানো হয়েছে। সেখানেই লাগাতার প্রচার করা হয় নবান্ন অভিযান সম্পূর্ণ বেআইনি। তার কারণ এর জন্য আগে পুলিশের অনুমতি নেয় নি সংগঠনগুলি।

গতকাল সোমবারই এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন রাজ্যের এডিজি আইন শৃঙ্খলা মনোজ বর্মা ও এডিজি আইন শৃঙ্খলা দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তাঁরা বলেন, এই আন্দোলনের জন্য পুলিশের অনুমতি প্রয়োজন। তা আবেদন জানাননি বিক্ষোভকারীরা। নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় নেয় সঙ্গীতার ১৬৩ ধারা জারি থাকে। সেই অনুযায়ী বেশি লোকের জমায়েত সেখানে করা সম্ভব নয়। কিন্তু যেভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের উস্কানিতে বিক্ষোভকারীরা পথে নেমেছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এছাড়াও বহিরাগতরা এই আন্দোলনে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল।

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ! ধুমধাম করে গণেশ পুজোয় ‘না’ পুজো কমিটিগুলির

এই মুহূর্তে বেলা যত বাড়ছে অশান্তির আজ ততই বাড়ছে। পুলিশ জনতার খন্ড যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। সংগঠনের বিভিন্ন দল বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে হাওড়া অভিমুখে রওনা হয়েছে। আর তাদের রুখতে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে পুলিশ।