ফ্রান্সে গ্রেফতার টেলিগ্রামের কর্ণধার, ‘ঘরশত্রু’কে নিয়ে সক্রিয় রাশিয়া

মার্কিন গুপ্তচর জোসেফ এডওয়ার্ডস স্নোডেন কথা মনে পড়ে? ২০১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএফ তথ্য নিয়ে দেশের পালিয়ে ছিল ওই গুপ্তচর। পরে রাশিয়া হয়ে ইকুয়াডরের…

Telegram founder pavel durav arrested in france over cyber offence and russia reacts

মার্কিন গুপ্তচর জোসেফ এডওয়ার্ডস স্নোডেন কথা মনে পড়ে? ২০১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএফ তথ্য নিয়ে দেশের পালিয়ে ছিল ওই গুপ্তচর। পরে রাশিয়া হয়ে ইকুয়াডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেয়। অনেকটা একই রকম রুশ বংশভূত টেক কর্ণধার পাভেল। রাশিয়ার চোখে ধুলো দিয়েও পালিয়ে বেড়াতেন তিনি। জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টেলিগ্রামের কর্ণধার পাভেল দুরভ। অবশেষে পুলিশের জালে বন্দি।‌

ফ্রান্সের মাটিতে পা রাখতেই গ্রেফতার হলেন জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ সংস্থা টেলিগ্রামের কর্ণধার পাভেল দুরভ। শনিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের লো বরগেট বিমানবন্দরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দরে মোতায়েন থাকা ফরাসি পুলিশ। টেলিগ্রামে মাধ্যমে যে ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ হচ্ছে তা রুখতে তিনি ব্যর্থ। এমনই অভিযোগ আনা হয়েছে ৩৯ বছর বয়সী তরুণ পাভেলের বিরুদ্ধে।

   

২০১৩ সালে বাজারে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও whatsapp এর মতন একাধিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ঠিক তখনই এই মার্কিন সাইটগুলির চোখে চোখ রেখে পাল্টা তোর সঙ্গে নেটওয়ার্কিং অ্যাপ টেলিগ্রাম চালু করেন রুশ বংশোদ্ভূত পাভেল।

অল্প কিছুদিনের মধ্যে হু হু করে জনপ্রিয়তা বাড়লেও বিপদে পড়তে হয় সেই সময় ২৯ বছরের যুবককে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নজরে পড়েন তিনি। রাশিয়ার দাবি টেলিগ্রামের সমস্ত তথ্যভাণ্ডার বা ডেটাবেস রুশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে হবে অন্যথায় বন্দী করা হবে পাভেলকে। বিপদ বুঝেই সতর্ক হয়ে যান তিনি। রাশিয়া ছেড়ে পাড়ি দেন বিদেশে। সোজা চলে আসেন দুবাইতে। সেখান থেকেই নিজের ব্যবসার কাজকর্ম পরিচালনা করছিলেন। জনপ্রিয়তাও বাড়ছিল তাঁর।

তবে সম্প্রতি দুবাই থেকে ফ্রান্সে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো শনিবার ফ্রান্সে পা রেখেছিলেন পাভেল। তারপরেই গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে। আরে পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে প্যারিসের রুশ দূতাবাস। হয়তো নিজের ঘর শত্রু কে দেশে ফেরাতেই রাশিয়া কি তৎপর হয়ে উঠল? প্রশ্ন উঠছে এমনই। অথবা পাভেলের কাছে রাশিয়া সম্পর্কে কোন গোপন তথ্য রয়েছে যে কারণে যেন তেন প্রকারেন তাঁকে পেতে চাইছে পুতিন প্রশাসন।

পাভেলের গ্রেফতারের পিছনে ফ্রান্সের কি স্বার্থ রয়েছে? বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যফ্রান্স সহ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে। এমন অবস্থায় ফ্রান্স কি রাশিয়ার সঙ্গে বন্দী প্রত্যার্পনে সমর্থ হবে? সে সবকিছুই সময় বলবে। ‌