সুনীতার ফিরতে আরও মাস ৬, তার আগেই ফিরবে বোয়িং স্টারলাইনার, কেন?

৫ জুন ৮ দিনের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোর। দু’মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি তাঁরা। শনিবার…

Why Boeing Starliner Will Return Without Sunita Williams , সুনীতার ফিরতে আরও মাস ৬, তার আগেই ফিরবে বোয়িং স্টারলাইনার, কেন?

৫ জুন ৮ দিনের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোর। দু’মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি তাঁরা। শনিবার নাসা ঘোষণা করেছে যে, মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর কে এলন মাস্কের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীর বুকে ফেরানো হবে। তবে, তার আগেই বোয়িং এর স্টারলাইনার মহাকাশযানটি (যেটিতে করে সুনীতারা গিয়েছিলেন) পৃথিবীতে ফেরত আসবে। কোনও ক্রু সদস্য ছাড়াই সেটিকে ফেরানো হবে।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট মহাকাশযান স্টারলাইনার ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সুনীতা ও বুচকে স্পেশ স্টেশনে রেখে চালক ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। ততদিন গবেষণা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সিস্টেম পরীক্ষা সহ স্টেশনে বিজ্ঞানের কাজ চালিয়ে যাবেন সুনীতারা।

   

প্রধানমন্ত্রী মোদী, যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করায় স্ত্রীকে ‘তালাক’ এক ব্যক্তির!

সুনীতারা যে স্টারলাইনার করে পৃথিবী ছেড়েছিলেন সেই বোয়িংয়ের পাঁচটি হিলিয়াম ফুটো দেখা যায়। এর ফলে সেটির পাঁচটি ম্যানুভারিং থ্রাস্টার নষ্ট হয়ে যায়। তার জেরেই নাসা জানিয়েছে, আপাতত পৃথিবীতে ফিরছেন না সুনীতা ও বুচ। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন। বিবৃতি নাসা জানিয়েছে, ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স-এর সঙ্গে যৌথভাবে একটি মহাকাশযান তৈরি করা হয়েছে। যার নাম ক্র-৯। সেটাই মহাকাশে পাঠিয়ে ফেব্রুয়ারিতে সুনীতাদের উদ্ধার করা হবে।

ক্র-৯ কে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে দু’জনকে মহাকাশে পাঠানো হবে। সেখানে মোট চারজনের জায়গা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতাদের নিয়ে সেটি আবার পৃথিবীর দিকে ফিরবে। এই মিশন শেষ হবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। নাসা জানিয়েছে, স্টারলাইনার মহাকাশযানের ত্রুটি পুরোপুরি না সারিয়েসুনীতাদের ফেরানোর হলে বিপদের ঝুঁকি রয়েছে

পলিগ্রাফ টেস্টে গিরগিটির মতো রং বদলাচ্ছে অভিযুক্ত সঞ্জয়

কারণ, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে কাজ না করলে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধাক্কা খেয়ে তখন জ্বলন্ত অবস্থাতেই মহাকাশে ফিরে যাবে মহাকাশযানটি। থ্রাস্টার বিকল হলে ফের মহাকাশেই ছিটকে যাবে মহাকাশযানটি। আর তখন মাত্র ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন-ই অবশিষ্ট থাকবে! তারপর পুড়ে ছাই হয়ে যাবে মহাকাশযানটি। সেক্ষেত্রে মহাকাশ যানের সঙ্গেই বাষ্পের মতো উবে যাবেন সুনীতা এবং ব্যারি বুচ উইলিয়াম!

এর আগে, ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। একসময় সর্বোচ্চ স্পেসওয়াকের রেকর্ডও তাঁর দখলে ছিল। সুনীতাদের এই মিশন অবশ্য অনেক আগেই হত। কিন্তু প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে যায় একাধিকবার। এখন মহাকাশে পৌঁছনোর পর বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছেন তাঁরা।