তিরুপতির ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। দুনিয়াজুড়ে এই মন্দিরের মাহাত্ম্য। দেশ বিদেশের বহু মানুষ এই মন্দিরে আসেন। সেইরকম শুক্রবারও পুণে থেকে এসেছিলেন চার ভক্ত। যাদের দেখেই তাজ্জব হওয়ার জোগাড়। হাঁ করে দেখলেন অন্য়ান্য সকলে। কেন? কী এমন করেছেন ওই ভক্তরা?
পুণের ওই ভক্তদলে ছিলেন দ’জন পুরুষ, একজন মহিলা ও একটি শিশু। চোখ যেতেই ঠিকরে উঠল। সকলেরই পুরো শরীর সোনায় মোড়া। সানগ্লাস থেকে পা পর্যন্ত সোনার গয়না আবৃত। সোনার সানগ্লাস, গলা ভর্তি কয়েকটি মোটা সোনার চেইনের, চুড়ি, নেকলেস সহ তাঁদের শরীরে রয়েছে আরও অনেক সোনার তৈরি অলঙ্কার!
মন্দির সূত্রে খবর, ২৫ কেজি সোনার গয়েনা পরে ওই চার ভক্ত তিরুপতির ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। এত সোনার দাম কত? সূত্রের খবর প্রায় ১৮ কোটি টাকার সোনা অলঙ্কার আবৃত ছিলেন তাঁরা।
এই ভক্তদের মনে শান্তি কতটা জানা যায়নি। তবে, শংসয়ে ছিলেন তাঁরা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে একজন পুলিশ সহ নীল স্যুটে অন্তত দু’জন লোক মন্দিরে আশীর্বাদ প্রার্থনার সময় পুণের এই ভক্তদের পাহারা দিচ্ছিলেন।
VIDEO | Andhra Pradesh: Devotees from Pune wearing 25 kg of gold visited Tirumala’s Venkateswara Temple earlier today.
(Full video available on PTI Videos – https://t.co/n147TvqRQz) pic.twitter.com/k38FCr30zE
— Press Trust of India (@PTI_News) August 23, 2024
প্রাচীন পাহাড়ি তিরুপতির ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ থেকে ৯০ হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানামস (টিটিডি) এর পরিচালক শ্যামলা রাও জানান, বিশ্ব বিখ্যাত শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রার্থনা বাক্সে জুলাই মাসে নগদ ও সোনাদানা মিলিয়ে পেয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। ২২ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন এবং ৮.৬ লক্ষ ভক্ত জুলাই মাসে এই মন্দিরে আচার-অনুষ্ঠান করেছেন। মন্দিরের পক্ষ থেকে এক কোটিরও বেশি লাড্ডু বিক্রি করা হয়েছে।
দক্ষিণ বারতের এই জগৎখ্যাত মন্দিরে পূজনীয় ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর, যাঁকে বিষ্ণুর একটি রূপ বলে মনে করা হয়। প্রচোলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভেঙ্কটেশ্বর কলিযুগের মানবজাতিকে সকল অশুভ থেকে বাঁচাতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন। বলা হয় যে, ভগবান শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর- যিনি শ্রীনিবাস, বালাজি এবং ভেকাটাচলপতি নামেও পরিচিত। এই দেবতা পাঁচ হাজার বছর আগে তিরুমালাকে তাঁর আবাস করেছিলেন। এমনকী তাঁর আগেও, ভগবান বরাহস্বামীই তিরুমালাকে তাঁর নিবাস বানিয়েছিলেন। তারপর থেকে, বহু ভক্তরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মন্দিরের প্রাচীরে বিশাল প্রবেশদ্বার নির্মাণ করে চলেছেন। মন্দির প্রাহ্গনটি ১৬.২ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত।