যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে মোদী, জেলেন্সস্কির কাঁধে হাত রেখে ‘শান্তি’র আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

পোল্যান্ড হয়ে ট্রেনে চেপে ইউক্রেনে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গত ত্রিশ বছরে প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইউক্রেন (ukraine) সফরে গেলেন তিনি। সাত…

Modi visits to Ukraine

পোল্যান্ড হয়ে ট্রেনে চেপে ইউক্রেনে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গত ত্রিশ বছরে প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইউক্রেন (ukraine) সফরে গেলেন তিনি।

সাত ঘণ্টার সফরে কিভে পৌঁছেই ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি’তে রুশ হামলায় নিহত শিশুদের স্মৃতিসৌধে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাঁধে হাত রেখে হাঁটতে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে যে ‘মুদ্রা’ বিপদের সময় বন্ধুর পাশে থাকার বার্তাবাহী। অর্থ্যাত্ ভারত যে ইউক্রেনের পাশে রয়েছে, জেলেনস্কির কাঁধে হাত রেখে মোদী সেই বার্তাই দিলেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

   

রাজ্যের সিট বাতিল! আর জি কর দুর্নীতির গোটা তদন্ত সিবিআইয়ের: হাইকোর্ট

শুক্রবার হোটেলে পৌঁছেই গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করতে বেরিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তারপর যান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে মোদী বলেন, ‘‘ভারতের অবস্থান পরিষ্কার, এটি যুদ্ধের সময় নয়। আমাদর সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মানবতার এই সঙ্কট কাটাতে হবে।’’ তারপরে তিনি ঘুরে দেখেন ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রিও।

আরজি কর ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ বাংলা পক্ষের

বিগত দুবছরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক রীতিমতো তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল আমদানি নিয়ে কটাক্ষ করে ইউক্রেনের সরকার। গতবছর জি-২০ সম্মেলনেও দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জেলেন্সস্কিকে। যা নিয়েও আমেরিকাসহ পশ্চিমীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল নয়াদিল্লিকে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গোটা বিশ্বে নিজেদের পক্ষে দল ভারী করতে ‘কূটনৈতিক মেরুকরণে’র চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল আমেরিকা ও পশ্চিমী জোট।

লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের ফেরৎ ফর্ম! এবার প্রতি-আক্রমণে তৃণমূল, রাজ্যের কাছে বড় দাবি কুণালের

সেইসময় থেকেই লাগাতার ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়ার জন্য ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে গিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্কের জেরে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছিল নয়াদিল্লি। আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল আমেরিকা সহ পশ্চিমী জোট। কূটনৈতিক মহল সূত্রে জানা যায়, ভারতের ওপর নানান কৌশলে চাপ বাড়ানোর চেষ্টাও করেছে হোয়াইট হাউজ।

কিন্তু এবার গত জুলাইতে রাশিয়া সফর করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপর মাস ঘুরতেই ফের ইউক্রেন সফর। এই সফরে ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ও পশ্চিমীদের কাছে ভারতের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে দ্রুত বাস্তবায়িত করাই ভারতের উদ্দেশ্য। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।