বাংলাদেশের (Bangladesh) দাপুটে বামপন্থী নেতা, লম্বা সময় মন্ত্রী থাকা রাশেদ খান মেনন (Rashed khan Menon) আর লুকিয়ে থাকতে পারলেন না। তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর দল বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির তরফে গ্রেফতারির কথা স্বীকার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে পতন হয়েছে টান চারবার নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকার। ধৃত রাশেদ খান মেনন বারবার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর রাশেদ খান মেনন ছিলেন আত্মগোপনে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বনানীতে নিজের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রাশেদ খান মেনন বাংলাদেশের অন্যতম কমিউনিস্ট নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা নেতা। কলকাতায় দীর্ঘ সময় ছিলেন। আত্মগোপনকালে ভারতের কমিউনিস্ট দলগুলি বিশেষত সিপিআইএমের (CPIM) সঙ্গে তাঁর নৈকট্য হয়। তাঁর দল ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সিপিআইএমের রাজনৈতিক নৈকট্য আছে। জ্যোতি বসুর যেমন ঘনিষ্ঠ ছিলেন রাশেদ খান মেনন তেমনই তিনি সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিশেষ পরিচিত।
সরকারি চাকরির আসন সংরক্ষণ নিয়মের সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের জোট সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনা। তাঁর দলের অনেক নেতা মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে পলাতক। কেউ কেউ নিহত। কেউ ধরা পড়ে জেলে আছেন। শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দায়ের করা অভিযোগে রাশেদ খান মেননকে আসামি করা হয়েছে।