শঙ্কর দাস, বালুরঘাট : আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ আন্দোলনে যখন সকলে ব্যস্ত। পুলিশ প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য ভবন সকলরেই নজর সেই প্রতিবাদের গতিপ্রকৃতির দিকে। তখন বেসরকারী ক্লিনিক (Private Clinics) গুলিতে দালাল চক্রের রমরমা বালুরঘাটে।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের নিকটেই ট্যাঙ্কমোড় এলাকায় অবস্থিত অধিকাংশ বেসরকারি ল্যাব ও ক্লিনিক। দিনের আলো ফুটতেই দালালদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় এলাকাটি। দূর দূরান্ত থেকে অসহায় রোগীরা এই দালাল চক্রের পাল্লায় পড়ে চিকিৎসার নামে সর্বশ্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন। দৌড়াত্ব এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে প্রেসাক্রিপশন হাতে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরোনো মাত্রই চক্রের লোকেরা তা কেড়ে নিয়ে তাদের নিজেদের ল্যাবে পরীক্ষানিরীক্ষা বা দোকান থেকে ঔষধ কিনতে বাধ্য করছেন। জেলা স্বাস্থ্য ভবনের তরফে দালাল চক্র বন্ধে বহুবার অভিযান চালানোর পাশাপাশি ক্লিনিক গুলিকে সাবধানও করা হয়।
ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর মহকুমায় একাধিক বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যভবন। কিন্তু বালুরঘাটের চিত্রটা যেই কে সেই অবস্থা। চিকিৎসা করাতে আসা অসুস্থ্য অসহায় রোগীদের কাছে বালুরঘাট ট্যাঙ্ক মোড় এলাকা রীতিমতো আতঙ্কের জায়গায় পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষকে দালাল চক্রের হাত থেকে রেহাই দিতে বৃহস্পতিবার আসরে নেমেছিল পুলিশ। সাদা পোশাকে নজরদারি চালিয়ে এদিন দালাল চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা সিবিআই’য়ের, রাজ্যের হয়ে আইনি লড়াইয়ে ২১ আইনজীবী
এব্যাপারে দঃ দিনাজপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস জানিয়েছেন বেসরকারি ক্লিনিক গুলিতে চিকিৎসার নামে রোগীদের হয়রানি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরে তিনটি নার্সিংহোম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি ক্লিন গুলিকে এই মর্মে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে যে কারও বিরুদ্ধে সাধারণকে প্রতারণা বা হয়রানির অভিযোগ উঠলে তার লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আগামীতে কোনদিন যাতে আর লাইসেন্স না পায় তার ব্যবস্থাও করা হবে