আরজি করে চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। গত ১৩ অগস্ট তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে হস্তান্তরিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর সেই রিপোর্টেই উল্লেখ, আরজি করের ঘটনা ‘গণধর্ষণ’ নয়। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ পেয়েছে।
জানা গিয়েছে যে, ফরেন্সিক রিপোর্টে এমনও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে- ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ধৃত সঞ্জয় রায়-ই জড়িত। নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্টেও একজনের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ, নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চাইলেন প্রধান বিচারপতি
হাসপাতালের সেমিনার হলে চিকিৎসকের আধা-বস্ত্র পরিহিত লাশ পাওয়া যাওয়ার একদিন পর ১০ আগস্ট সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও, সিবিআই সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। সেখানে ধৃত সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হল ঢুকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, ওই সেমিনার হলেই চিকিৎসকে খুন করা হয়েছিল।
আরজি কর-এর মোড় ঘোরাতে দেশে ধর্ষণের পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন অভিষেক
ধৃতে বিরুদ্ধে এর আগেই গার্হস্থ্য নির্যাতনের ইতিহাস রয়েছে। হাসপাতালের সব বিভাগে অ্যাক্সেস ছিল তার, অপরাধের জায়গায় তার ব্লুটুথ হেডসেট মেলার পরই পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। তবে সিবিআই এখনও এই ঘটনায় আরও বেশি লোক জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্ত শেষ করতে পারেনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চূড়ান্ত মতামতের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে ফরেনসিক রিপোর্ট পাঠাতে পারে।