আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ, নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চাইলেন প্রধান বিচারপতি

গত সোমবারই আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেই রিপোর্টে নির্যাতিতার সারা দেহে ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতার শরীরে কিছু পরিমান…

Supreme court wants to see Post mortem report of Rape victim of RG Kar and slams wb police over misinformation of death

গত সোমবারই আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেই রিপোর্টে নির্যাতিতার সারা দেহে ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতার শরীরে কিছু পরিমান তরল পদার্থ মিলেছে। যা থেকে স্পষ্ট নির্যাতিতাকে খুন করে ধর্ষণ করা হয়। আর এই রিপোর্ট সামনে আসতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের একাধিক সংগঠন। ধর্ণা ও স্বাস্থ্যভবন এমনকী নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।

বাল্যবিবাহ রুখতে অসমে নয়া আইন, মুসলিমদেরও করতে হবে বিবাহ ও বিচ্ছেদ নথিভুক্ত

   

এদিকে ২২ অগস্ট শুনানিতে সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court of India)। সেই মতো বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টও চাইলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)।

আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা সিবিআই’য়ের, রাজ্যের হয়ে আইনি লড়াইয়ে ২১ আইনজীবী

এদিনের শুনানিতে ময়নাতদন্ত ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ভর্ত্সনা করেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “প্রথমে পরিবারকে বলা হয় আত্মহত্যা। পরে বলা হয় মৃত্যু। তখন সন্দেহ তৈরি হতে তার পর থেকে ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়।” তার পরেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে চান প্রধান বিচারপতি। আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়, সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। জবাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানায়, রাজ্য তাদের হাতে এটা দেয়নি। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, কেস ডায়েরির মধ্যে সব রয়েছে।

সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজো বোনাস বৃদ্ধির লংজাম্প, বড় ঘোষণা মমতা সরকারের

রাজ্য ও সিবিআইয়ের রিপোর্ট হাতে পেয়েই তিন বিচারপতি সেই রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়েন। তারপর আলোচনা করেন নিজেদের মধ্যে। এরমধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ময়নাতদন্তের আগে কীভাবে আত্মহত্যা বলে পুলিশ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের কাছে। অন্যদিকে, আরজিকর কাণ্ডে সিট গঠন করেছে রাজ্য, যা নবান্ন নিয়ন্ত্রিত। এই বিষয়টি আদালতকে জানায় চিকিত্সকদের আইনজীবী। তবে, আগে তদন্তের রিপোর্টের ওপর শুনানি হবে পরে সিট নিয়ে শুনানি হবে বলে জানায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।