আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder Case) প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে কয়েক হাজার সমর্থকের জমায়েত দেখা গিয়েছিল স্টেডিয়াম চত্বরে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের গ্যালারি থেকে প্রতিবাদের ঝড় তোলার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ডুরান্ড কমিটি। যারফলে মাঠের লড়াই নেমে আসে রাজপথে।
সময় যতো এগোয় ততই বাড়তে থাকে সমর্থকদের সংখ্যা। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান হোক কিংবা মহামেডান। মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল সব। মিছিলেই হাঁটতে দেখা যায় সকল সমর্থকদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই স্টেডিয়াম চত্বরে আনা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারপর একটা সময় উভয় পক্ষের বচসার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। আন্দোলনকারী দের দমাতে বেশকিছু ফুটবল সমর্থকদের আটক করে কলকাতা পুলিশ। যা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয় সকলের মধ্যে।
পরবর্তীতে লালবাজারে গিয়ে তাঁদের সকলকে মুক্ত করেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ বাঙালির সেরা খেলা ফুটবল। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে বিভক্ত। একশো বছর ধরে এই লড়াই চলছে। এরা খেলার মাঠের ছেলে। খেলার জন্য এসেছে। আন্দোলন করেছে।সারারাত তাঁদের লকাপে রাখার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ কোনও সূচনা দেয়নি। তাঁদের আদালতে তোলার পরিকল্পনা ছিল। যেটা লঘু পাপে গুরু দন্ড হত বলেই আমার মনে হয়। যারফলে এটি নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতাম।’
The last 6 detained fans are released after AIFF President’s intervention.
Thanks President @kalyanchaubey ✊ https://t.co/CZPxiI8raC pic.twitter.com/2WvDLFLi6Z
— Tᴏʀᴄʜ Bᴇᴀʀᴇʀs 🔴🟡 (@TORCH__BEARERS) August 18, 2024
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ প্রশাসনের সুবুদ্ধি হয়েছে। তাঁরা ৬ জন সমর্থকদের ছেড়েছেন। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুটো দলের সমর্থকরাই রয়েছেন। আমার কামনা থাকবে পশ্চিম বাংলায় ফুটবলের অনেক উন্নতি হোক। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের হাত ধরে উন্নতি হোক। সমর্থকরা যতদিন থাকবে খেলা বেঁচে থাকবে। খালি স্টেডিয়ামে কোনও খেলা বড় হতে পারে না। ফুটবলারকে স্টার তৈরি করে সমর্থকরা। তাঁদের সাথে অন্যায় হওয়া মানেই খেলার সাথে অন্যায় হওয়া। আমি উঁকিল নিয়ে এসে এদের বেল করিয়েছে। আশা করি শান্তি থাকবে এদের পরিবারের জন্য। পাশাপাশি আগামী দিনে ও মনে সাহস আসবে লড়াই করার জন্য।’