এবার লালবাজার থেকে তলব সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় নতুন করে চমকপ্রদ খবর প্রকাশ্যে উঠে এল। এবার এই ঘটনায় আজ শুক্রবার লালবাজারের তরফে ডেকে পাঠানো হল তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়…

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় নতুন করে চমকপ্রদ খবর প্রকাশ্যে উঠে এল। এবার এই ঘটনায় আজ শুক্রবার লালবাজারের তরফে ডেকে পাঠানো হল তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Ray)- কে। 

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘সত্যি কথা বলার জন্য আজ তাঁকে লালবাজারে তলব করা হয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় কথা বলার জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ 

   

আজ বিকেল ৪টের মধ্যে সাংসদকে লালবাজারে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও কোনও নোটিস পাননি বলে দাবি করেছেন সাংসদ। উল্লেখ্য, গতকালই সিপিকে গ্রেফতারির দাবি করেন সুখেন্দুশেখর। আরজি কর নিয়ে বারবার শাসক দলের এই সাংসদকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। 

আরজি কর-কাণ্ডে বাংলা সহ গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এদিকে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাও যে রাজনৈতিক তর্কাতর্কি থেকে রেহাই পায়নি তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘটনায় রাজ্য সরকারকে এমনিতে দফায় দফায় তুলোধনা করছে বিরোধীরা। কিন্তু এই আরজি করের ঘটনায় রীতিমতো শাসক দল দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় বারবার সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলের শান্তনু সেন থেকে শুরু করে দলে প্রবীণ সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। 

গতকাল সুখেন্দুশেখর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “সিবিআইকে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প রটিয়েছিল তা জানা আবশ্যক। হলের দেওয়াল কেন ভাঙল, কেন ৩দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ?এরকম শতাধিক প্রশ্ন আছে, ২ জনকে হেফাজতে নিক সিবিআই, ওদের মুখ খোলানো দরকার।”