শনি কূটনীতি! নয়াদিল্লিতে তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার তাঁর এই ভাষণ শুনবেন বাংলাদেশ থেকে পলাতক শেখ হাসিনা। তিনি দিল্লিতে ভারত সরকারের আশ্রিতা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদল, শেখ হাসিনার পলায়ন ও রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ ইউনূস কী বার্তা দেন তাও লক্ষনীয়।
সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে ছাত্র ও জনতার গণবিক্ষোভে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দলটি টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছিল। ১৬ বছর একটানা চলেছিল সরকার। অভিযোগ, আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে গণহত্যা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের দাবি, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’। তাদেরই উদ্যোগে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আলোচনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার মোদী নিজে ড. ইউনূসকে ফোন করে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন। দুই নেতার মধ্যে সংখ্যালঘু ইস্যুসহ পারস্পরিক সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
দেশজুড়ে চিকিত্সা পরিষেবার দফারফা, কর্মবিরতি চিকিত্সকদের, হাহাকার রোগীদের
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের তরফে ভারতীয় সাংবাদিকদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে তিনি নরেন্দ্র মোদীকে আশ্বস্ত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।