প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ, সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ সিপিআইএমের

নির্বাচনী ময়দানে বাংলায় দলের অবস্থা মোটেই ভাল নয়। বারে বারেই ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে। এই প্রেক্ষাপটে সিপিআইএম নেতৃত্বের মাথাব্যথা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ দলীয়…

CPIM removed Sushant Ghosh from the post of West Medinipur district secretary on allegations of unlawful cohabitation

নির্বাচনী ময়দানে বাংলায় দলের অবস্থা মোটেই ভাল নয়। বারে বারেই ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে। এই প্রেক্ষাপটে সিপিআইএম নেতৃত্বের মাথাব্যথা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ দলীয় নেতা সুশান্ত ঘোষের কার্যকলাপ। এক মহিলাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাসের অভিযোগ উঠেছিল বাম আমলের মন্ত্রী সুশান্তর বিরুদ্ধে! মহিলা ঘটিত এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশন গঠন করেছিল সিপিআইএম। দলীয় কমিশনের সেই তদন্ত রিপোর্ট রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে জমা পড়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল আলিমুদ্দিনের নেতৃত্ব।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকের পদ থেকে দলের প্রবীণ নেতা সুশান্ত ঘোষকে অপসারিত করেছে সিপিআইএম। তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি। সুশান্ত ঘোষের বদলে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজয় পালকে।

   

দলের পদক্ষেপের বিষয়ে সুশান্ত ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

‘নির্যাতিতা’ মহিলার অভিযোগ, ২০০৬ সালে তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তখন মন্ত্রী বলেছিলেন, ওই মহিলার জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করবেন। মহিলাকে তিনি একদিন তাঁর বাড়িতে ডাকেন। মন্ত্রী বাড়িতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আর কাউকে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। বারবার ডেকে সহবাসে লিপ্ত হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। পরে মহিলার বিয়ে হলেও প্রাক্তন মন্ত্রী সম্পর্ক রেখে চলেন। মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায়। পরে অভিযোগকারীনি মহিলা জানতে পারেন যে, একাধিক মহিলার সঙ্গে সুশান্ত ঘোষের শারীরিক সম্পর্ক ছিল।

গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরই সিপিআইএমের রাজ্য দফতর আলিম্মুদ্দিন স্ট্রিটে তোলপাড় পড়ে যায়। সুশান্তর বিরুদ্ধে কমিশন গঠন হয়। সেই সময় থেকেই জেলা সম্পাদক পদে তাঁকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল দল৷ শারীরিক সমস্যার কারণে সুশান্ত নিজেও দলের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন৷ ২০১৬ সাল পর্যন্ত গড়বেতার বিধায়ক ছিলেন সুশান্ত৷ ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরই বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেফতার হতে হয় সুশান্ত ঘোষকে৷ পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী।