‘আমাদের ব্যর্থতা’, আরজি করে ভাংচুরের ঘটনায় স্বীকার পুলিশ কমিশনারের

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে দেশ। প্রতিবাদ ছড়িয়েছে বিদেশেও। ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অরাজনৈতিক কর্মসূচি শিহরন জাগিয়েছে। মহিলাদের পাশাপাশি প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা…

short-samachar

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে দেশ। প্রতিবাদ ছড়িয়েছে বিদেশেও। ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অরাজনৈতিক কর্মসূচি শিহরন জাগিয়েছে। মহিলাদের পাশাপাশি প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা যায় পুরুষদেরও। কিন্তু শহরের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ জমায়েতের মাঝেই তাণ্ডবলীলা চলে আরজি করে। তছনছ সরকারি ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। ভেঙে দেওয়া হয়েছে দামি দামি সব চিকিৎসা সরঞ্জামও। হাসপাতাল কর্মীদেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মারধর করা হয় পুলিশ কর্মীদেরও। কেন হল এমন অবস্থা? এই প্রশ্নের জবাবেই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

   

হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ মেলার পর থেকেই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই জন্য গুজবকেই দায়ী করেছেন পুলিশ কমিশনার। সাংবাদিক বৈঠকে বিনীত গোয়েল বলেন, ‘একাধিক গুজব রটেছে। এই ঘটনা নেপথ্যে যা সবচেয়ে বড় কারণ। ফলে দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে ওইভাবে হামলা করে।’

ভাঙচুরকাণ্ডে আর জি করের প্রিন্সিপালকে রাতেই সিজিওতে নিয়ে গেল ‘অসন্তুষ্ট’ সিবিআই!

পুলিশ প্রস্তুত ছিল, তাও কেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেল না? পুলিশ কমিশনারের কথায়, ‘হামলায় ডিসিপির মাথা ফাটায় আমাদের ফোর্স বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সামলে নিতে সময় লাগে। সেই সুযোগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হামলা হয়। ওরা পুলিশের তুলনায় সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহতও হন।’ বিনীত গোয়েলের সংযোজন, ‘কলকাতা পুলিশের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গায় নেই। আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় আমরা কোনও কিছু আড়াল করিনি।’

তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিনীত গোয়েল বলেছেন, ‘ছাত্রী খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দক্ষ অফিসাররা ছিলেন। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করি। এখন এজেন্সি তদন্তে রয়েছে, তারা দেখবে কোথাও কোনও খামতি ছিল কিনা।’ তিনি এও প্রশ্ন তোলেন, ‘স্বাভাবিক মৃত্যু না হলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়। এটাই নিয়ম। এক্ষেত্রেও সেটাই করা হয়েছিল। এরপর তদন্তের ভিত্তিতে বাকি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়। সেটার জন্য তদন্তের সময়টুকু প্রয়োজন।’ এই মন্তব্যের পরই কলকাতার পুূলিশ কমিশনারের প্রশ্ন, ‘মানুষ কেন অধৈর্য্য হয়ে পড়ছেন?’