কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) বিরাট সিদ্ধান্ত, ডাক্তার সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হলেই ছয় ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কর্তব্যরত অবস্থায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর যে কোনও নিগ্রহের ঘটনা ঘটলে ঘটনার ৬ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর দায়ের করতে হবে হাসপাতালের প্রধানকে। শুক্রবার এমনই এক নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার আবহে কেন্দ্রের এই নির্দেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ভাঙচুরকাণ্ডে আর জি করের প্রিন্সিপালকে রাতেই সিজিওতে নিয়ে গেল ‘অসন্তুষ্ট’ সিবিআই!
ওই নির্দেশিকায় সাম্প্রতিক অতীতে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে বলেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। হাসপাতালে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মীরা হুমকির মুখে পড়েছেন বলেও উল্লেখ নির্দেশিকায়। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মূলত চিকিৎসক কিংবা চিকিৎসা কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগের আঙুল উঠেছে রোগীর পরিবারের লোকজনের দিকে। হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। তা রুখতে অতীতে একাধিকবার কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে প্রশাসনকে।
In the event of any violence against any healthcare worker while on duty, the Head of Institution shall be responsible for filing an Institutional FIR within a maximum of 6 hours of the incident: Ministry of Health and Family Welfare pic.twitter.com/2YGDZVRx8O
— ANI (@ANI) August 16, 2024
প্রসঙ্গত শুক্রবার আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। বুধবারের ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল আদালত। হাই কোর্টের প্রশ্ন, ‘পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কী ভাবে রক্ষা করবে?’ এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, বুধবার রাতে হঠাত হাজার সাতেক মানুষ হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। ফলে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তাতে হাই কোর্টের পালটা প্রশ্ন, কোথাও ১০০ মানুষের জমায়েত হলেও পুলিশের জানার কথা। সেখানে এত মানুষ জড়ো হল অথচ পুলিশ জানল না? আগে থেকে গোটা ঘটনাস্থল কেন নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল না?
সপ্তাহের শেষের দিকে কি কমল সোনার দাম? জানুন আজ কলকাতায় সোনার রেট
অন্যদিকে মাঝ রাস্তা থেকে সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে তুলে নিয়ে গেল শুক্রবার। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে শুক্রবার রাস্তা থেকে ধরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের যে মামলা, তাতে সন্দীপ ঘোষের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল বলে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন সন্দীপের আইনজীবী। ডাকলেও সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি তিনি। এবার তাঁকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে যায় সিবিআই।