ভারতের ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, নোবেল পুরস্কার ফাউন্ডেশন ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) হাতে লেখা অনুবাদ প্রকাশ করেছে। ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন’ বাংলাতেই রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন বিশ্বকবি। রবীন্দ্রনাথের করা দেশের জাতীয় সংগীতের অনুবাদ বৃহস্পতিবার তাঁদের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে নোবেল প্যানেল।
ভারতের প্রথম নোবেল বিজয়ী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মূলত ১১ ডিসেম্বর ১৯১১ -এ বাংলায় “ভারতো ভাগ্য বিধাতা” নামে রচনা করেছিলেন।গানটির পাঁচটি স্তবকের মধ্যে প্রথমটি ২৪ জানুয়ারী ১৯৫০ তারিখে ভারতের গণপরিষদে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে “জন গণ মন” এর একটি রেকর্ডিং দেন।
“Jana Gana Mana” is the national anthem of India, originally composed in Bengali by poet Rabindranath Tagore, who was awarded the Nobel Prize in Literature in 1913.
Pictured: An English translation of Jana Gana Mana by Tagore pic.twitter.com/8p1AzBNQoQ
— The Nobel Prize (@NobelPrize) August 15, 2024
ভারতো ভাগ্য বিধাতা’-এর ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছিল ‘দ্য মর্নিং সং অফ ইন্ডিয়া’ নামে। এদিনকার পোস্টে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে লেখা মূল অনুবাদটি দেখা যায়। ‘জন গণ মন’ অনুবাদ করা হয়েছে ‘তুমি সকল মানুষের মনের অধিপতি’ হিসেবে ।সকাল ১১:৪২ এ নোবেল পুরস্কার এক্স প্লাটফরনে পোস্ট হওয়ার পর থেকে, টুইটটি প্রায় ১০০,০০০ ভিউজ পেয়েছে ৷ প্রতিবেদনটি ৮৮৩ বার রিটুইট করা হয়েছে এবং প্রায় ৩,৫০০ ব্যবহারকারী এতে লাইক দিয়েছে ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন কবি, গীতিকার, লেখক, চিত্রকর, নাট্যকার, সুরকার, দার্শনিক এবং সমাজ সংস্কারক যিনি বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতকে নতুন আকার দিয়েছেন। তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান, যা তাঁকে প্রথম অ-ইউরোপীয় এবং প্রথম গীতিকার হিসেবে চিহ্নিত করে যিনি এই পুরস্কার পুরস্কৃত হয়েছিলেন।