স্বাধীনতা দিবসে মধুমিতাকে তীব্র আক্রমণ ঋদ্ধির, পাল্টা দিলেন অভিনেত্রী

স্বাধীনতা দিবসের দিন তাঁর সোশাল মিডিয়াতে দেশবাসী ও তাঁর অনুরাগীদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। তাঁর পোস্টে বানান ভুল থাকায় তাকে…

স্বাধীনতা দিবসের দিন তাঁর সোশাল মিডিয়াতে দেশবাসী ও তাঁর অনুরাগীদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। তাঁর পোস্টে বানান ভুল থাকায় তাকে বেনজির আক্রমণ করেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)। মধুমিতার শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা। তাঁর প্রত্যুত্তরে পাল্টা জবাব দেন মধুমিতাও।

বৃহস্পতিবার তাঁর সোশাল মিডিয়াতে সাদা সালোয়ার কামিজ পরে স্বাধীনতা দিবসের একটি ফটোশুট শেয়ার করেন মধুমিতা। সেই মহুর্তে তাঁর পোস্টার ক্যাপশন ছিল, “স্বাধীনতা দিবসে একটি-ই কামনা, নিঃশ্বাসটুকু যেন স্বাধীন ভাবে নিতে পারি আমাদের ভারতবর্শে।” এই পোস্টে উল্লেখযোগ্য ভাবে ‘দিবস’ এবং ‘ভারতবর্ষ’ বানান ভুল লেখায় তাঁকে তীব্র আক্রমণ করা শুরু করেন ঋদ্ধি।

   
 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Madhumita Sarcar (@madhumita_sarcar)

মধুমিতার পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে ঋদ্ধি মন্তব্য করেন যে বিনোদন জগতের বেশ কিছু কর্মী তাঁদের ন্যূনতম লজ্জবোধ এবং শিক্ষা হারিয়ে ফেলেছেন। এর পর তিনি লেখেন যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কঠিন পরিশ্রম স্বাধীনতা দিবসের ৭৮ বছর পেরিয়ে ভুলে গেছেন অনেকে। ঋদ্ধির মোতে এঁরা স্বাধীনতা দিবস পালন করার ‘অভিনয়’ করছেন। পোস্টে ঋদ্ধি যোগ করেছেন, “যে রাজ্যে এক ডাক্তারের সাদা পোশাক ভেসে গেলো রক্তে সেই রাজ্যে এদের মতো অশিক্ষিত ব্যক্তি সাদা পোশাক পরে ওড়না উড়িয়ে দন্ত বিকশিত করে ভুল বানানে স্বাধীনতা দিবস পালন করার অভিনয় করছে।”

ঋদ্ধির মতে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা শিল্পী, মানুষ, নাগরিক বা মানুষ হিসেবে শুধু ‘ভান’ করেছেন, কিন্তু একজন শিল্পী, নাগরিক বা মানুষের দায়িত্ব পালন করেননি। তাঁর পোস্টের শেষে ঋদ্ধি লিখেছিলেন, “এরা আমাদের পেশায় কলঙ্ক। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বলার আগে নিজের ভণ্ডামি আর অশিক্ষা থেকে স্বাধীন হন, আমাদের কর্মক্ষেত্রও স্বাধীনতা চায় আপনাদের মতো অশিক্ষিত শিল্পীর কাছ থেকে। “

তাঁর প্রতি ‘অশিক্ষিত’ শব্দের ব্যবহারের উত্তর দিতে ভোলেনি মধুমিতা। ঋদ্ধির পোস্টের কিছুক্ষন পর তিনি সেই পোস্টগুলির স্ক্রিনশট নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মধুমিতা লেখেন, “একটা পোস্টে কিছু ভুল বানান দেখে যিনি ভাবছেন যিনি আমাকে চিনে গেছেন? বাহ্! আপনারা কিন্তু ওঁর কাছে হাত দেখাতে পারেন। ” মধুমিতার প্রতুত্তরে পর তাঁর পোস্টটি ডিলিট করে দেন বৃদ্ধি।

আরেকটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্ট করে মধুমিতা লিখেছেন, “আপনার শিক্ষা নিয়ে আমি কোনো প্রশ্ন তুলব না ঋদ্ধি। আমি আপনার বাবা মা কে শ্রদ্ধা করি। রেশমি আন্টি খুব ভালো মানুষ। ‘বোঝে না সে বোঝে না তে’ আমার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। আপনার শিক্ষা নিয়ে কথা বললে আমার বাড়ির শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আপনি যতদূর গেছেন, আমি ততটা নিচে নামবো না। “

তাঁর বানান ভুলের সাফাইও এদিন দিয়েছেন মধুমিতা। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, জানান যে ইংরেজির তুলনায় বাংলা টাইপ করতে অনেকেই অবস্থা নন। তিনি জানিয়েছেন যে মোবাইল টাইপে করার একটা মাধ্যম থাকে যেখানে ‘শ’ র ‘ ষ’ দুটো পাশাপাশি থাকায় ভুল হয়ে গিয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে ভুল চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশোধন করেছেন তিনি। সর্বশেষে মধুমিতা ভিডিওতে যাঁরা তাঁদের ট্রোল করেছে তাঁদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, “আমি খুব খুশি আমার জন্য আপনারা এতটা সময় নষ্ট করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনেক শুভেচ্ছা।আপনাদেরও তো স্বাধীনতা আছে আমাকে ট্রোল করার।”