আরজি কর-কাণ্ড থেকে শিক্ষা? হাসপাতালগুলিকে সটান চিঠি পাঠাল কেন্দ্র

আরজি করকাণ্ডের আবহে আচমকা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন হাসপাতালে কাজের পরিবেশ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারী…

আরজি করকাণ্ডের আবহে আচমকা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন হাসপাতালে কাজের পরিবেশ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারী হাসপাতালগুলিকে পরামর্শ জারি করেছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে যে সরকারী হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে খারাও আচরণ খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী তাদের কর্মজীবনের কোনও না কোনও সময়ে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন। আরও অনেককে হুমকি দেওয়া হয় বা মৌখিক আগ্রাসনের মুখোমুখি হতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালগুলিকে এই জাতীয় সমস্ত ঘটনার একটি রেজিস্ট্রি বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নজরে আনতে হবে।”

   

উল্লেখ্য, কলকাতার সরকারি হাসপাতালে আর জি কর মেডিকেল কলেজ-হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে জুনিয়র ডাক্তার ও মহিলারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে। মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত সিবিআইয়ের একটি দল কলকাতা পুলিশের প্রথম ফোন থেকে পুরো ক্রাইম সিকোয়েন্স বের করার চেষ্টা করছে।

সূত্রের খবর, মৃতের চার বন্ধুর উপরেও নজর রয়েছে তদন্তকারী দলের, যাদের সঙ্গে মহিলা চিকিৎসক ডিনার করেছিলেন। কারণ তাঁরাই ‘তিলোত্তমা’-কে শেষবারের মতো দেখেছিলেন। সেইসঙ্গে যে ডেলিভারি বয় রাতের খাবার দিয়ে গিয়েছিল তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।