‘রুটি জোগাতে পকেটে টান…’ বেহাল পাকিস্তানে এক চাকরিতে রক্ষে নেই!

বছর খানেক আগে পাকিস্তানে আটার গাড়ির পেছনে ছোটার ছবিটা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। সেই দৃশ্য আজও খুব একটা বদলায়নি। কারণ এখন আর এক চাকরিতে সম্ভব…

Economic crisis in Pakistan people are suffering to have food and run family due to inflation and low income.

বছর খানেক আগে পাকিস্তানে আটার গাড়ির পেছনে ছোটার ছবিটা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। সেই দৃশ্য আজও খুব একটা বদলায়নি। কারণ এখন আর এক চাকরিতে সম্ভব নয়, সংসার চালাতে একাধিক কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তানিরা। তাতেও রক্ষে নেই, টান পড়ছে সংসারে। বিগত ইমরান জমানা থেকেই বেহাল অর্থনীতিতে ভুগছে সিংহভাগ পাকিস্তানি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সে দেশের বহু নাগরিককে।

রাষ্ট্রসংঘ নজরদারিতে হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচারের দাবি

   

সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে দুটো করে চাকরি করেও সংসার চালাতে পারছেন না তাঁরা। বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের থেকে ধারও নিতে হচ্ছে। তবু তাতেও মিটছে না চাহিদা। ফলে সেই ধার মেটাতেও হিমশিম অবস্থা সেদেশের আম জনতার। প্রায় ৭৫ শতাংশ পাকিস্তানিই মাসিক খরচা চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। গতবছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ আর্থিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচির মতো বড় শহরগুলিকে নিয়ে চালানো সমীক্ষায়

এই বেহাল চিত্রটি উঠে আসে। গত বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ পরিবারের মধ্যে অভাব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৫৬ শতাংশ পরিবারই কোনও সঞ্চয় করতে পারছে না। ফলে বেকায়দায় পড়েছে তাঁদের ভবিষ্যত।

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চলাকালীন ইজরায়েলের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজ অনুমোদন যুক্তরাষ্টের

২০২২ সালে পাকিস্তানে আর্থিক সংকট চরম মাত্রায় পৌঁছয়। তার জেরে উল্টে যায় ইমরান সরকার। তবে শাহবাজ শরিফের জোট সরকার ক্ষমতায় এলেও আর্থিক পরিস্থিতি ফেরাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তবে মার্কিন সহযোগিতায় সম্প্রতি আইএমএফ থেকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে পাকিস্তান। তবুও যে কে সেই হাল! পরিস্থিতি পাল্টায়নি মোটেও।

প্যারিস অলিম্পিক চলাকালীন প্রায় ৪০ টিরও বেশি সাইবার হামলার শিকার ফ্রান্স!

পকেট-কাটা মূল্যবৃদ্ধি আর ঋণের জালে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছে পাকিস্তান। আর তার প্রভাব সরাসরি পড়েছে আমজনতার রোজনামচায়। ওই সমীক্ষায় আরও বলা হয় যে, ২০১১ সালে পাকিস্তানের একটি শিশুর মাথাপিছু ঋণ ছিল ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে ২০২৩ সালে সেই ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। ফলে মরার ওপর এই খাঁড়ার ঘা সামলাতে কী করবে সেদেশের প্রশাসন তাই ভেবে উঠতে পারছে না কেউ।