রাত দখলের ডাক নিয়ে তৃণমূলে ভিন্ন মত! কেউ করলেন কটাক্ষ, কেউ করলেন সমর্থন

রাত দখলের ডাক নিয়ে ভিন্নমত তৃণমূলের (TMC) ! সাংসদ থেকে বিধায়ক কিংবা তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্রের ভিন্নমত নিয়ে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের ঝড়। গত শুক্রবার আরকি এক দ্বিতীয়…

tmc

রাত দখলের ডাক নিয়ে ভিন্নমত তৃণমূলের (TMC) ! সাংসদ থেকে বিধায়ক কিংবা তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্রের ভিন্নমত নিয়ে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের ঝড়। গত শুক্রবার আরকি এক দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি ট্রেনি ডাক্তার তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্যরাজনীতি। রাজ্য থেকে এই আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। এই অবস্থায় এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে ১৪ অগস্ট রাত দখলের ডাক দিয়েছে মেয়েরা। ১৫ অগস্টের প্রাক্কালে এই আন্দোলন অন্য মাত্রা পেয়েছে। দলমত নির্বিশেষে রাস্তায় নামছে মেয়েরা। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতাদের ভিন্নমত।

পিছিয়ে গেল খাদানের টিজার মুক্তির তারিখ, আরজি কর কাণ্ডে দ্রুত বিচার চাইলেন দেব!

তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এই ঘটনাকে সমর্থন করে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে লিখেছেন, ‘কালকে আমিও প্রতিবাদে যোগ দেব। কেন না লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতো আমিও এক জন মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু।’ সুখেন্দু আরও লিখেছেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে সরব হতে হবে। মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক হয়েছে। চলুন সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যাই হোক না কেন।’ আবার অন্যদিকে কুণাল ঘোষ এই গোটা ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন।

 

ভারতে গোপন বাড়ি থেকে হাসিনার আহ্বানে বাংলাদেশ গরম! ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত সংঘর্ষ আশঙ্কা

তিনি এই গোটা ঘটনাকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন। কুণাল ঘোষ লিখেছেন,’সিপিএমের বিপ্লবীরা আগে বর্ণালী দত্ত, ডাঃ অনিতা দেওয়ান, তাপসী মালিক, ধানতলা, নন্দীগ্রামের হিসেব দিক।’ এরপর রাতের জমায়েত নিয়ে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। কুণালের বলেছেন, ‘রোজ রাত আর ভোরে এই বাংলায় অসংখ্য মা, বোন যাতায়াত করেন। গ্রাম থেকে স্টেশন, রেল ধরে শহর। কতরকম কাজ। দেখুন। বুঝুন। রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই।’

সপ্তাহের মাঝে ফের উর্ধমুখী সোনার দাম, কলকাতায় কত দামে বিক্রি হচ্ছে ২৪ ক্যারেট সোনা?

Advertisements

এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ কটাক্ষের ছলে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ কেউ রাত দখল করতে চাইলে আমার সমর্থন আছে, তবে কারুর স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমাকে ফোন করবেন না।’ প্রসঙ্গত আন্দোলনের প্রাথমিক আহ্বানে জমায়েতের স্থান হিসেবে তিনটি জায়গার কথা বলা হয়েছিল— কলেজ স্ট্রিট, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এবং যাদবপুর এইটবি বাস স্ট্যান্ড। কিন্তু দেখা যায় সোমবার রাত থেকে উত্তরপাড়া শখের বাজার, সোদপুর বিটি রোড মোড়, চন্দননগর স্ট্র্যান্ড, কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে মধ্যরাতে মেয়েদের দখল নেওয়ার ওই পোস্টার ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

 

এই ঘটনায় ভিন্নমত পোষণ করে ঘরে বাইরে কটাক্ষের মুখে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের বিশেষ দল কলকাতায় এসে পৌঁছায়। বুধবারেই এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয়কে হেফাজতে নিতে পারে তাঁরা। এছাড়াও আরজি করে যেতে পারে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল।