অভয়া কাণ্ডে সরব হলেন ‘মিস ক্যালকাটা’

আরজি করের ঘটনার চারদিন পরে মুখ খুলল অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। একটি ইউটিউব চ্যানেলে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন যে, এটি একটি নক্করজনক ঘটনা।…

aparna sen

আরজি করের ঘটনার চারদিন পরে মুখ খুলল অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। একটি ইউটিউব চ্যানেলে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন যে, এটি একটি নক্করজনক ঘটনা। শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনার ছাত্রছাত্রীরা যে দাবি করেছেন, সেই সবগুলি তিনি সমর্থন করে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তাঁর মুখে নারীদের নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত সিসিটিভির বন্দোবস্ত করতেও তিনি আর্জি জানিয়েছেন।

কাউকে সন্দেহ হলে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হবে, পড়ুয়াদের আশ্বাস সিপি বিনীত গোয়েলের

   

তিনি জানিয়েছেন যে, ‘যে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটল, তা দেখেশুনে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। এরপর সত্যিই আর কিছুই বলার থাকে না। কিন্তু তারপরও অনেক কিছু বলার থেকে যায়। অন্যান্য নাগরিকদের মতো আমারও প্রশ্ন, কেন মহিলাদের এরকম অরক্ষিতভাবে কাজ করে যেতে হবে সর্বত্র। কেন যথেষ্ট সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে না। এই অবহেলার দায় কি সরকার নেবে? সরকারকেই নিতে হবে। কেন না সরকারি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রছাত্রীদের দাবির সঙ্গে আমি সর্বতোভাবে একমত। তাঁদের সম্পূর্ণ সমর্থন করছি। সরকার যেন অবিলম্বে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করেন এবং দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তি দিক।’

কাউকে সন্দেহ হলে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হবে, পড়ুয়াদের আশ্বাস সিপি বিনীত গোয়েলের

এখানেই শেষ নয়, তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অতনু ভট্ট-এর সমাজ মাধ্যমের পোস্টকে সমর্থন করে বলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একটা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমার প্রশ্ন–মৃতাকে ওরকম রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়েও প্রথমে পুলিশ কেন বলল সেটা আত্মহত্যার ঘটনা। কীসের ভিত্তিতে এই ঘোষণা, সেটা জানান অধিকার আমাদের আছে। দ্বিতীয়ত, পুলিশ কেন মৃতার বাড়িতে ফোন করে বললেন এটা আত্মহত্যা? কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটল? তৃতীয়ত, পুলিশ কেন তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠল? যে হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটল, সেই হাসপাতালেই কেন ময়নাতদন্তের প্রস্তাব উঠল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের ভাবাচ্ছে। নাগরিক হিসেবে এই প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার আমাদের আছে।’

প্রসঙ্গত আরজি কর নিয়ে কলকাতার প্রায় সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালেই আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সেই আন্দোলনের বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়ছে জেলার কিছু কিছু সরকারি হাসপাতালেও। বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা।