অবশেষে ‘স্বাধীনতা’র স্বাদ পেলেন জিয়া

রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পর বন্দিদশা ঘুচল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia)। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবারই জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে…

bnp-leader-and-former-prime-minister-of-bangladesh-khaleda-zia-was-released-after-the-presidents-announcement

রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পর বন্দিদশা ঘুচল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia)। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবারই জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তাঁর সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। অবশেষে এদিন দুপুরে মুক্তি পেলেন জিয়া।

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে বঙ্গভবনে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। বেশ কিছু শর্ত মেনে থাকতে হত তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সেই সব শর্ত তুলে নেওয়া হয়।

   

দুর্নীতির দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী জিয়া। দু’বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রাণসুরক্ষা, বড় দাবি বাংলার বিজেপি সাংসদের

২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। গত ২১ মার্চ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় আওয়ামী লীগ সরকার।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিশেষ শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু শর্তও আরোপ করা হয়। শর্তদুটি হল – বিদেশে যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া এবং ঢাকায় থেকে চিকিৎসা করাতে হবে তাঁকে। তবে বাংলাদেশে চলাফেরায় খালেদা জিয়াকে কোনও অনুমতি নিতে হয় না। তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে।

বাংলাদেশের তাণ্ডবের নেপথ্যে কী পাকিস্তান? প্রশ্ন রাহুলের, কী জবাব জয়শঙ্করের?

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক হয়। সভায় সেনাবাহিনীকে লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।