উত্তাল বাংলাদেশ। হাসিনার দেশ ছাড়ার দিনই বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে বড় দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অবস্থা বেগতিক দেখে এ বাংলায় অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে হাই এলার্ট জারি হয়। এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার দিল্লি গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন দিল্লি গেলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক? তা স্পষ্ট নয়। তবে, মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি সফরে বিরোধী দলনেতা।
শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশে। রয়েছেন সেফ হাউসে। তাঁর সঙ্গে সোমবারই কথা বলেছিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান সর্বদল বৈঠকে ব্যাখ্যা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। উদ্বিগ্ন ভারত প্রশাসনও।
জনতার ‘হত্যাকারী’ অভিযুক্ত হবেন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশে এনে ‘ফাঁসি দিতে’ আইনি প্রস্তুতি
গত সোমবার বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘এক কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আসবে। আপনারা তৈরি থাকুন। আমি তো তৈরি আছি। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে বলব, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুন।’
বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রাণসুরক্ষা, বড় দাবি বাংলার বিজেপি সাংসদের
অন্যদিকে বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য না করারর অনুরোধ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাসিনা কুর্সি ছাড়লেও বাংলাদেশে হিংসা ছড়িয়েছে। আক্রান্ত সেদেশের সংখ্যালঘুরা। আওয়ামী লীগের বহু নেতা, কর্মীও আক্রান্ত। পোড়ানো হয়েছে থানা, হোটেল, চলছে হামলা, ঘটেছে পিটিয়ে মারার ঘটনাও। গতকাল অর্থাৎ, সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা শতাধিক। ।সীমান্তের ও-পারের আঁচ এ-পারে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সজাগ প্রশাসন। এই অবস্থায় শুভেন্দুর রাজধানী যাত্রা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।