বড় খবর! সড়ক দুর্ঘটনায় (Road Accident) ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে নগদহীন চিকিৎসা শুরু হচ্ছে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, সরকার সড়ক দুর্ঘটনার শিকারদের নগদবিহীন চিকিৎসার জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে নগদহীন চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তাব কয়েক মাস আগেই চূড়ান্ত করে পরিবহণ মন্ত্রক। এই প্রকল্পের আওতায় পথ দুর্ঘটনায় আহতরা সারা দেশের আয়ুষ্মান ভারতের তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। চিকিৎসার ঊর্ধ্বসীমা হবে দেড় লক্ষ টাকা, ১০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাবে। চিকিৎসার ব্যয় বীমা কোম্পানিগুলো বহন করবে।
‘গোল্ডেন আওয়ার’ নামে পরিচিত প্রথম ৬০ মিনিটের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সময়মতো চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সংকটময় মুহূর্তে দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ২০২২ সালে ভারতে ১.৬৮ লক্ষ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে।
যে-সে নয়, ভারতের একমাত্র এই কুলিরই রয়েছে দু’জন বন্দুকধারী দেহরক্ষী!
গড়করি বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে নগদহীন চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিবহণ মন্ত্রক একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। চণ্ডীগড়-অসমে পাইলট ভিত্তিতে এটি চালু হয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) সহযোগিতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক।
লোকসভায় একটি লিখিত উত্তরে মন্ত্রী বলেছেন, এই প্রকল্পের আওতায় আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা-র অধীনে তালিকাভুক্ত হাসপাতালে দুর্ঘটনার তারিখ থেকে যোগ্য ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ দেড় দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। প্রকল্পটি মোটর যানবাহন আইন ১৯৮৮-র ধারা ১৬৪বি এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত মোটর যান দুর্ঘটনা তহবিলের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
‘বঙ্গভঙ্গ’তেই সুকান্তকে ‘কিস্তিমাত’ শুভেন্দুর? ‘খেলা’ ঘুরিয়ে দিলেন মমতাই!
মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, ৯৭ শতাংশ পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গড় চিকিৎসার খরচ প্রায় ৬০,০০০ টাকা। খুব অল্প সংখ্যক যাত্রীকে বড় হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়।
তহবিল ব্যবহারের বিশদ বিবরণ কেন্দ্রীয় মোটর যান (মোটর যান দুর্ঘটনা তহবিল) বিধিমালা, ২০২২-এ দেওয়া আছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে এনএইচএ, স্থানীয় পুলিশ, তালিকাভুক্ত হাসপাতাল, রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থা, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার এবং জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কাউন্সিলের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে প্রকল্পটি চালাবে।