হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া

মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তাঁর সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।…

Bangladesh Army Chief General Waker-uz-Zaman Meets BNP Chairperson Khaleda Zia

মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তাঁর সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। আজ সোমবার (৫ অগস্ট) রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ রাজনৈতিক নেতাদের সামনে একথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

এদিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে বঙ্গভবনে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। বেশ কিছু শর্ত মেনে থাকতে হত তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সেই সব শর্ত তুলে নেওয়া হচ্ছে। 

   

দুর্নীতির দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী জিয়া। দু’বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিলেন তিনি।

পদত্যাগ করে ‘পালিয়েছেন’ মা! কী বললেন শেখ হাসিনার ছেলে ওয়াজেদ?

২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। গত ২১ মার্চ নির্বাহী আদেশে আটবারের মতো তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় আওয়ামী লীগ সরকার।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিশেষ শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু শর্তও আরোপ করা হয়। শর্তদুটি হল – বিদেশে যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া এবং ঢাকায় থেকে চিকিৎসা করাতে হবে তাঁকে। তবে বাংলাদেশে চলাফেরায় খালেদা জিয়াকে কোনও অনুমতি নিতে হয় না। তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে।

হৃদয়বিদারক! কন্যা দেশ ছাড়তেই উন্মত্ত জনতা হাতুড়ি দিয়ে মেরে ভাঙল বঙ্গবন্ধু মুজিবের মূর্তি

এদিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক হয়। সভায় সেনাবাহিনীকে লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় কারা উপস্থিত ছিলেন? 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস

জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, মজিবুল হক চুন্নু ও আনিসুল ইসলাম

নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, হেফাজত ইসলামের মামুনুল হক, মুফতি মনির কাসেমী ও মাহাবুবুর রহমান

জামায়াতে ইসলামের ড. শফিকুর রহমান ও শেখ মোঃ মাসুদ, মেজর জেনারেল ফজলে রাব্বি (অব.),

জাকের পার্টির শামিম হায়দার

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ

গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকী, জাকের পার্টির শামিম হায়দার

গণ-অধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার জুয়েল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ফিরোজ আহমদ

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনিশ্চিত বিশ্বকাপ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আরিফ তালুকদার, ওমর ফারুক ও মোবাশ্বেরা করিম মিমি এবং ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আনিছুর রহমান