হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, হঠাত সেনাপ্রধানের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ

পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুটোয় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। সে সময়…

Clashes in Bangladesh to demand Hasina's resignation Army chief's address to the nation, হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, হঠাত সেনাপ্রধানের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ

পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুটোয় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। সে সময় পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এর আগে গত শনিবার (৩ আগস্ট) সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।’

বাংলাদেশে বন্ধ ইন্টারনেট। ঢাকা লং মার্চ রুখতে সেনা নামিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিক্ষোভকারীদের দাবি হাসিনার পদত্যাগ। শতাধিক নিহত।

   

ঢাকায় সেনা ট্যাংক টহল, রবীন্দ্রনাথের নৌকাডুবি প্রচ্ছদ ছড়িয়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের বার্তা

ছাত্র আন্দোলন পরিণত হয়েছে গণবিক্ষোভে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ বনাম বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শতাধিক নিহত। বেশিরভাগক্ষেত্রে গুলি করে খুনে অভিযুক্ত পুলিশ ও লীগের সমর্থকরা। আর থানায় ঢুকে পুলিশ গণহত্যায় জড়িত বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশ অশান্ত।

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতীয়দের ওদেশে যেতে সতর্কতা জারি বিদেশমন্ত্রকের

বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ফের রক্তাক্ত পরিস্থিতির আশঙ্কা। ঢাকা থমথমে। বাংলাদেশ রক্তাক্ত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করেছে সরকার। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন মোড়ে অবস্থানের পাশাপাশি নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছে।

বিবিসির খবর, ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের ঘোষণা করা তিনদিনের সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছে। এই সময় সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বুধবার পর্যন্ত এই বিশেষ ছুটি থাকবে। সেই সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউও বহাল থাকবে।

একনজরে বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের খতিয়ান

  • ১৯৫২ মাতৃভাষার দাবিতে অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় ভাষা আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান।
  • ১৯৬৯ পাকিস্তানে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থান। পাক প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ।
  • ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে গণঅভ্যুত্থান। বাংলাদেশের জন্ম।
  • ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুনের পর সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত পাল্টাপাল্টি বিদ্রোহ। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার শুরু।
  • ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানকে সেনাবিদ্রোহে খুনের পর জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখল। ফের সামরিক শাসন।
  • ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া ও জামাত ইসলামির একযোগে আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান। এরশাদের পতন। প্রধানমন্ত্রী খালেদার ক্ষমতা দখল
  • ২০০৯ সালে ঢাকা বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BDR) বিদ্রোহ। ৫০ অধিক রক্ষী অফিসার নিহত। বিদ্রোহের পর নাম পাল্টে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB)
  • ২০১৩ ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের অভ্যুত্থান চেষ্টা। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্র্যাকডাউনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
  • ২০২৪ সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গণবিক্ষোভ। রক্তাক্ত পরিস্থিতি। সরকারি বাসভবনে কড়া সেনা পাহারায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে বাংলাদেশ অশান্ত।