বিচারককে হুমকি, শেষে কী পরিণতি হল অভিযুক্ত আইএএস অফিসারের?

জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট একটি ফৌজদারি অবমাননা মামলায় গান্ডারবাল জেলা কমিশনার আইএএস শ্যামবীর সিংকে তলব করেছে। বিচারপতি অতুল শ্রীধরন এবং বিচারপতি সঞ্জীব কুমারের বেঞ্চ ওই…

IAS Officer Shyambir Singh Faces Criminal Contempt Case For Allegedly Threatening Judge

জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট একটি ফৌজদারি অবমাননা মামলায় গান্ডারবাল জেলা কমিশনার আইএএস শ্যামবীর সিংকে তলব করেছে।

বিচারপতি অতুল শ্রীধরন এবং বিচারপতি সঞ্জীব কুমারের বেঞ্চ ওই আইএএস আধিকারিককে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার অভিযোগে ব্যক্তিগতভাবে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

   

নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে, আইএএস শ্যামবীরকে নোটিস ইস্যু করার কথা। সোমবার অর্থাৎ ৫ অগস্ট সকাল ১১টায় আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। আদালতের কাজে সহায়তা করার জন্য হাইকোর্ট সিনিয়র আইনজীবী রিয়াজ আহমেদ জানকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

শ্যামবীর সিং, ২০১৮ ব্যাচের ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা (আইএএস) অফিসার। ওই অফিসার ২০২২ সাল থেকে গান্ডারবালের ডেপুটি কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছিল, অভিযোগ উঠেছিল যে- শ্যামবীর গান্ডারবালের সাব-জজ ফায়াজ আহমেদ কুরেশির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছেন এবং তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য তার নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন। বিচারককে হয়রানি করেছেন বলেও অভিযোগ।

বাংলাকে উজার করে দিল মোদী মন্ত্রিসভা! ১০ হাজার কোটির বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ

২০২২ সালের অক্টোবরের রায় মেনে না চলার সাস-জজ কুরেশি আইএএস শ্যামবীর সিংয়ের বেতন সংযুক্তির আদেশ দিয়েছিলেন। সাব-জজের মতে, জেলা প্রশাসক তাঁকে হেনস্থা করতে সরকারি পদের অপব্যবহার করেছিলেন। এছাড়াও, কোনও সরকারি আদেশনামা ছাড়াই তাঁর সম্পত্তি পরিদর্শন করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন সাব-জজ কুরেশি।

শ্যামবীরের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবমাননা এবং বিচারকের সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে যাওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার প্রচেষ্টা হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। গত মাসে ফৌজদারি অবমাননার বিচারের আদেশে, সাব-জজ কুরেশি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য সচিবকে শ্যামবীরের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের আইনের মোতাবেক কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিলেন।

আদেশে বলা হয়েছিল যে, শ্যামবীর সিং সমন এড়াতে বা তার উপস্থিতি এড়ানোর যে কোনও প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং আদালত তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য জবরদস্তিমূলক প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে। আদালতের নির্দেশ না মানায় আইএএশ শ্যামবীরের বেতন আটকে দিয়েছিলেন সাব-জজ কুরেশি।