শুক্রবার দিনভর হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। থামেনি রাতেও। এরপর শনিবার কাকভোরে বেদম বৃষ্টি হয়েছে শহরে। এ দিন ভোর ৪ ছেতে ৬টাপর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তিলোত্তমায়। উত্তরে বৃষ্টির পরিমাণ দক্ষিণের তুলনায় বেশি। কিন্তু, এত বৃষ্টির পরও একেবারে অচেনা কলকাতা। কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট্র স্ট্রিটে জল জমেনি। একই ছবি উল্টোডাঙারও।
তবে, দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গা, যেমন- ই এম বাইপাস, অন্যদিকে ভিআইপি রোড, হলদিরাম, এয়ারপোর্ট চত্বরে জল জমেছে। ফলে ওই সব জায়গার ওপর দিয়ে যাতায়াতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত কলকাতায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উল্টোডাঙা এলাকায়। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪২ মিলিমিটার। ঠনঠনিয়া এলাকায় ২৪ মিলিমিটার, মানিকতলায় ৩৩ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটায় ৩৯ মিলিমিটার, দত্তবাগানে ৩২ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৩৫ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ২৩ মিলিমিটার, যোধপুর পার্কে ২২ মিলিমিটার, কালীঘাটে ১৫ মিলিমিটার, পাটুলিতে ১১ মিমি, বেহালায় ১১ মিমি।
আজও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, রয়েছে ধসের আশঙ্কা, জারি কমলা সতর্কতা
কলকাতার তথ্য-প্রযুক্তি তালুকের যাত্রীদের জন্য সুখবর, একাধিক রুটে সরকারি বাস পরিষেবার ঘোষণা
ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা সহ দুই বঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছিল। নিম্নচাপের দাপটে শনিবারও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
ভারী বৃষ্টির পর জল যন্ত্রণা কাকে বলে, তা ভালই জানেন কলেজ স্ট্রিট, আমহার্স্ট্র স্ট্রিট, মানিকতলা, উল্টোডাঙার বাসিন্দারা। কলকাতা পুরসনিগমকেও একানকার জলযন্ত্রণা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রতি বছর। চলতি বছরেও বর্ষার আগেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, এবার আর কলকাতার রাস্তায় জল জমবে না। পাম্প চালিয়ে দ্রুত জমা জল বের করার আশ্বাস দিয়েছিল পুরনিগম। সেই মতো এদিন পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই দেখা গেল, পুরসভার কর্মীরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে দেওয়া হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। প্লাস্টিক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, যাতে জল নামতে কোনও অসুবিধা না হয়। আর তাতেই কেল্লাফতে।
বৃষ্টি হলে কলেজ স্ট্রিট, আমহার্স্ট্র স্ট্রিট, মানিকতলা, উল্টোডাঙা এলাকায় জল জমাই দস্তুর। কিন্তু, এ দিন সকালে এইসব এলাকায় জল জমেনি। তবে, মেইন রোডের পাশে গলিতে জল জমলেও, তা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না।