অর্জুনের পথে হেঁটে মোদীর দ্বারস্থ তৃণমূলের সুখেন্দু

বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) দেখানো পথে হাঁটলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। সরাসরি চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বছর দুই…

Sukhendu Sekhar Roy Arjun Singh Prime Minister Narendra Modi

বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) দেখানো পথে হাঁটলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। সরাসরি চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বছর দুই আগে এভাবেই একই ইস্যুতে মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) দ্বারস্থ হন অর্জুন। তারপর দলবদল করেন।

আলোচিত ইস্যু হচ্ছে পাট (Jute mill)। হুগলি শিল্পাঞ্চলের আয়ের অন্যতম বড় ভরসা। সম্প্রতি বাজারে পাটের দাম কমেছে। পাটের বস্তার বরাতও কমেছে। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন চাষি থেকে শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে পাট শিল্প বাঁচাতে কেন্দ্রের সাহায্য চাইলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূলের এই রাজ্যসভার সদস্য।

   

একসময় বারাকপুরের আয়ের বড় ভরসা ছিল জুটমিল। সেই শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করেই রাজ্যপাট সামলান অর্জুন সিং। প্রথমে কংগ্রেস। তারপর তৃণমূল হয়ে বিজেপি। ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে সাংসদ। ২০২২ সালে এই পাট শিল্প ইস্যু নিয়েই সরব হন অর্জুন। তারপর দলবদল করে তৃণমূলে ফেরেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটের মুখে ফের বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থীও হন। কিন্তু জিততে পারেননি। সেই অর্জুনের দেখানো পথে হেঁটেই পাট শিল্প বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।

আচমকা পাট শিল্প নিয়ে অর্জুন সিংয়ের সরব হওয়ার পিছনে রাজনীতি ছিল। দলবদলের কৌশল ছিল। তা সহজেই অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে নিয়ে তেমন জল্পনার অবকাশ নেই। নেহাতই শিল্পের সমস্যা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন সংসদের উচ্চকক্ষের এই সদস্য।

কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুসারে, খাদ্যশস্য রাখতে ১০০ শতাংশ চটের বস্তা ব্যবহার করতে হবে। চিনির ক্ষেত্রে তা ২০ শতাংশ। পাট শিল্প বাঁচাতে এই আইন করে কেন্দ্র। তাই প্রতি বছর চটের বস্তা কেনে কেন্দ্রীয় সরকার। জুটমিল মালিকদের দাবি, বছরে ১৮ হাজার লক্ষ বস্তা কেনে কেন্দ্র। এ বছরেও তেমনই আশ্বাস ছিল। কিন্তু, পরে কেন্দ্র জানায় ১৫ হাজার লক্ষর বেশি বস্তা কিনবে না। এর জেরেই জুট মিলগুলি বিপাকে পড়েছে। অনেক শ্রমিক নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন না। জুট মিল মালিকদের দাবি, প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শ্রমিক সমস্যায় পড়েছেন।

শুধু শ্রমিক নয়, সমস্যায় পড়েছেন চাষিরাও। মিল মালিকদের দাবি, বস্তার বরাত কমায় পাটের দাম কমেছে। প্রায় চার কোটি চাষি এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাটের সহায়ক মূল্যর বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি লিখেছেন, পাটের সহায়ক মূল্য পাঁচ হাজার ৩০০ থেকে পাঁচ হাজার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাট চাষি এবং শ্রমিকদের বাঁচাতে বস্তার বরাত বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তিনি।