বিপর্যয় এলেই ডাক পড়ে মেজরের, বিপর্যস্ত ওয়েনাডেও কেন পরিত্রাতা এই মহিলা অফিসার?

ধসে বিধ্বস্ত কেরালার ওয়েনাড (Wayanad Landslide)। লাগাতার বৃষ্টি ধসেই বিপর্যস্ত সেখানকার জনজীবন। বিপর্যয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০। মঙ্গলবার ভোর রাতে বিপর্যয়ের পর থেকে…

Indian Army in kerala Major Sita

ধসে বিধ্বস্ত কেরালার ওয়েনাড (Wayanad Landslide)। লাগাতার বৃষ্টি ধসেই বিপর্যস্ত সেখানকার জনজীবন। বিপর্যয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০। মঙ্গলবার ভোর রাতে বিপর্যয়ের পর থেকে গোটা এলাকাতেই এখন আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। অসংখ্য মানুষ ইতিমধ্যেই ঘরছাড়া। জল, খাবারের অভাব প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।

গড়কড়ির পর এবার নির্মলাকে চিঠি মমতার, দিলেন হুঁশিয়ারি

   

সেই সঙ্গে প্রবল বর্ষণে নদীর জল ছাপিয়ে গিয়েছে দুকূল। ফলে প্রবল ভাবে বাধার সন্মূখীন হতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলিকে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী (Indian Army)। বিভিন্ন জায়গায় সেতু বানিয়েই একাধিক গ্রামে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে বাহিনীকে।

অলিম্পিকে ট্রান্সজেন্ডার চলবে না, কমলার ‘অতি-বাম’ আচরণকে তীব্র কটাক্ষ ডনের

আর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই ডাক পড়েছে সেনার মহিলা সদস্য মেজর সীতা অশোক সালকের (Major Sita Ashok Shelke)। সেনার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সদস্য তিনি। অতীতে কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশের একাধিক ধস বিপর্যস্ত জায়গায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন এই মহিলা অফিসার। কাজের জন্য অচিরেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে জম্মু-শ্রীনগর ১ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। সেই বিপর্যয় মোকাবিলায় ডাক পড়েছিল যে দলের, সেই দলে ছিলেন সীতা। আবারও ডাক পড়েছে তাঁর। এবার তিনি পৌঁছে গিয়েছেন কেরলের ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide)।

চূড়ালমালা থেকে মুন্ডাক্কাই গ্রাম ধসে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। দুই গ্রামে আটকে পড়ে অসংখ্য মানুষ। নদীর জল দু কূল ছাপিয়ে যাওয়ায় সেখানে কোনওভাবেই উদ্ধারকাজে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না সেনা ও এনডিআরএফের। আর তখনই ডাক পড়ে মেজর সীতার। প্রবল বর্ষণের মধ্যে সেতু বানানোর কাজে হাত দেন মেজর সীতা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নটায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এদিন ভোর পাঁচটার মধ্যে সেতু দিয়ে ওই গ্রামগুলিতে পৌঁছে যায় সেনার উদ্ধারকারী দল। মাত্র কয়েকঘন্টার ব্যবধানে চোখের পলকে সেতু বানিয়ে সেনার উদ্ধারকাজে বিরাট সহায়তা করেন তিনি। অতীতেও একইভাবে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সেনার ইঞ্জিনিয়ার মেজর সীতা।

ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, বিদ্রোহী পড়ুয়া বনাম পুলিশের সংঘর্ষে বহু হতাহত

মেজর সীতার বয়স পঁয়ত্রিশ। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের গাড়িলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সীতা। তৃতীয় বারের চেষ্টায় এসএসবি পরীক্ষা পাশ করেন তিনি। সেনা হতে চেয়েছিলেন। পছন্দের বিষয় ইঞ্জিনিয়ারিং। তাই সেনায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেই কাজে যোগ দেন। তারপর থেকে একাধিক বিপর্যস্ত এলাকায় কাজ করেছেন তিনি। আসমুদ্র হিমাচলে বিপর্যয়ে সেনার পরিত্রাতা এই মেজর সীতা।