Koi Fish: বর্ধমানে ভয়ানক কাণ্ড ঘটালো বাঙালির প্রিয় জিওল মাছ!

বাঙালির অন্যতম প্রিয় মাছ, কই (Koi Fish)। এই মাছ দিয়ে তৈরী করা যায় রকমারি রান্না। শর্ষে কই, হোক বা তেল কই, বাঙালির প্রিয় মাছগুলির মধ্যে…

বাঙালির অন্যতম প্রিয় মাছ, কই (Koi Fish)। এই মাছ দিয়ে তৈরী করা যায় রকমারি রান্না। শর্ষে কই, হোক বা তেল কই, বাঙালির প্রিয় মাছগুলির মধ্যে আলাদা জায়গা রয়েছে কইয়ের। আর সেই মাছই ঘটালো বড় অঘটন। রাস্তায় চলাচল করা কই মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) জামালপুরের তেলেগ্রামে ।

কী ঘটেছিল সেখানে? ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক দম্পতি। সেই সময় মহিলা ছিলেন অন্তরসত্তা। ট্রেন থেকে নেমে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় রাস্তাতে একটি কই মাছ (Koi Fish) লাফাতে দেখতে পান ওই মহিলা। স্ত্রীয়ের আবদারে সেই ম্যাচটি ধরে ফেলেন তাঁর স্বামী। এর পর তারা আরও একটি কই মাছ লাফাতে দেখেন। সেটিও ধরে নেন মহিলার স্বামী। এরপর দুহাতে দুটি মাছ নিয়ে ফেরবার সময় আরও একটি কই চোখে পড়ে তাঁদের।

   

এরপর একটি কই (Koi Fish) মাছ তাঁর দাঁতে চেপে ধরে, তৃতীয় কই মাছটিকে ধরতে যান মহিলার স্বামী। তখনই দাঁতে থাকা ম্যাচটি গলায় গিয়ে আটকে যায় ওই ব্যক্তির। তারপর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। একটি নামি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের তেলেগ্রামের। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম সাগর রায়। তিনি ৩৫ বছর বয়সী। তাঁর গলায় জ্যান্ত কই আটকে গেলে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। তবে হাসপাতালে পৌঁছতেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Digha:বর্ষায় দীঘার সমুদ্র আরও মোহময়ী, পর্যটকদের জন্য নয়া ঘোষণা প্রশাসনের

মৃত ব্যক্তির নাম সাগর। তাঁর বাড়ি পান্ডুয়ার রামবোয়া গ্রামে বলে জানা যাচ্ছে । বর্তমানে তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে তেলেগ্রামে বসবাস করা শুরু করেছিলেন তিনি। সেদিন তিনি গিয়েছিলেন বর্ধমান শহরে অন্তরসত্তা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখতে।

সাগরের পরিবারের লোকজন একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে এই দম্পতি যখন বর্ধমান থেকে ট্রেনে করে জৌগ্রাম স্টেশনে নামেন, রাত ৮টায়। স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় কই মাছ দেখতে পেয়েছিলেন তাঁরা। সাগরের আত্মীয় জানিয়েছেন যে বৃষ্টির কারণেই রাস্তায় উঠে এসেছিল কই মাছগুলি। তাঁর মুখে থাকা কই মাছটি হঠাৎই তাঁর গলায় চলে যায়। এরপর তাঁকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। বর্তমানে শোকের ছায়া রয়েছে পরিবার ও গোটা এলাকায়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবার স্থানান্তরিত করা হয়েছে সাগরের মৃতদেহ।