লোকসভা ভোট মিটতেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের অন্দরে এমনই জল্পনায় ভাসছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠলেন অভিষেক? সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিজের দাপট বৃদ্ধি করতে নাকি দলের অন্দরের কোনও নেতাকে সাইডলাইন করতে। ভিন্ন নেতার গলায় ভিন্ন সুর থাকলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দলীয় কিছু নেতার দাপট কমাতে এবং দলের অন্দরে শুদ্ধিকরণ করতে তৃণমূল সেনাপতির এই দাপট।
হিন্দু ভোটের দুশ্চিন্তাতেই শুভেন্দুর দাবি মেনে তৃণমূলের বেনজির কান্ড বিধানসভায়?
প্রসঙ্গত লোকসভায় অভিষেকের উপস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা বরাবর কটাক্ষ করলেও এইবার যেন তাঁদের তাঁর অতিসক্রিয়তা ভাবাচ্ছে। পাশাপাশি উঠে আসছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। অনেকের মতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একেবারেই সুসম্পর্ক নেই সেনাপতির। উপরন্তু এইবার সুদীপের হয়ে প্রচারেও যাননি তিনি। তাহলে কি লোকসভার অধিবেশনের শুরু থেকেই তাঁকে ‘সাইডলাইন’ করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি?
Rahul Gandhi: ‘পাপ্পুর’ করা সেলাইয়ে ‘হাওয়াই চটি’র দাম এখন ১০ লাখ!
দলের অনেকের মতে, অভিষেকই এখন তৃণমূলের সংসদীয় দলের ‘অঘোষিত’ নেতা। তাঁর সক্রিয়তার জেরে কার্যত ম্লান লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের অধিবেশন শুরুর পর থেকেই অভিষেক নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। কখনও স্পিকার নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়াকে সোজাসুজি ‘একতরফা’ সিদ্ধান্ত বলে দিয়েছেন, আবার কখনও বলেছেন, বিজেপি তথা এনডিএ-র খাতায়কলমে যে সংখ্যা রয়েছে, তা আরও কমে যাবে এই ভয়ে স্পিকার নির্বাচনে কেবল ধ্বনিভোট নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এক তরুণ সাংসদের কথায়, ‘মাঝেমাঝে বোঝাই যাচ্ছে না, লোকসভায় আমাদের দলনেতা কে! সুদীপদা (বন্দ্যোপাধ্যায়) না কি ‘এবি’ !’ আবার তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদের কথায়, ‘অভিষেকের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট, সংসদে তিনি আগের থেকে অনেক বেশি সক্রিয় থাকছেন এবং থাকবেন। এক দিকে যেমন জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে তুলে ধরার তাগিদ রয়েছে, তেমনই রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও যে ‘অলিখিত’ প্রতিযোগিতা রয়েছে, তা স্পষ্ট।’
হিরণের মামলায় দেবকে নোটিস হাইকোর্টের, ভোট কারচুপির অভিযোগে বেকায়দায় সুপারস্টার
এই উদাহরণ টেনে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন অভিষেক যেন জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে চাইছে তেমনই দলীয় প্রবীণদের একঘরে করে রাখার প্রবণতাও তৈরি করছে।সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতারই সুসম্পর্ক নেই বলে খবর। তবে কোনক্রমে ভোট উতরে যাওয়ার পরেই কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটছেন এবং সেই সঙ্গে আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনিই ভবিষ্যতের নেতা।