লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করল তৃণমূল

নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল লোকসভা। এদিকে আজ লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করল তৃণমূল (TMC)। সংসদ চত্ত্বরে বেরিয়ে এসে তৃণমূলের সাংসদরা…

tmc

নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল লোকসভা। এদিকে আজ লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করল তৃণমূল (TMC)। সংসদ চত্ত্বরে বেরিয়ে এসে তৃণমূলের সাংসদরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন।

এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ইউসুফ পাঠান, সায়নী ঘোষ, মহুয়া মৈত্রদের। শুক্রবার লোকসভায় বাদল অধিবেশন শুরু হতেই মূল্যবৃদ্ধি, একের পর এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনাকে ইস্যু করে সরব হন তৃণমূলের সাংসদরা। এরপর স্পিকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্লোগান, পাল্টা স্লোগান শুরু হয় সংসদে। এরপরেই আচমকা তৃণমূল সাংসদরা লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

   

আজকের অন্যতম ইস্যু ছিল চিকিৎসা-বিমায় ১৫৮ শতাংশ জিএসটি। চিকিৎসা-বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে বলে আজ লোকসভায় দাবি করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা প্রসঙ্গ তুলেছিলাম, জীবন বিমার প্রিমিয়াম ও ওষুধের উপর জিএসটি ধার্য করা হয়েছে, অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা দরকার। এই জিএসটি জনবিরোধী। এই জিএসটি দেশের মানুষের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমরা এই অংশের মানুষের পাশে রয়েছি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রয়োজনে আমরা রাস্তায় নামতে প্রস্তুত।”  

 

গতকাল বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘জীবন নিয়ে খেলতে দেবো না। দরকারের আন্দোলনে নামা হবে।’ এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, ‘ভারত সরকারের কাছে আমাদের দাবি হ’ল জনসাধারণের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে জীবন বীমা এবং চিকিৎসা বিমার প্রিমিয়াম থেকে জিএসটি ফিরিয়ে আনা। এই জিএসটি খারাপ কারণ এটি জনগণের মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাগুলির যত্ন নেওয়ার ক্ষমতাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে। ভারত সরকার যদি জনবিরোধী জিএসটি প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।’