কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতা ও তিনটি ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল (TMC)। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেও আইন বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই কথায় কর্ণপাত করেনি নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
শুভেন্দুর হাতে ‘মিষ্টি’ খেয়ে দিলীপের মুখে মমতার ‘শুভনন্দন’! নতুন খেলা শুরু?
বাজেট অধিবেশনের আগেই সেই আইন পাশ হয়েছে লোকসভায়। এবার সেই ন্যায় সংহিতার সহ তিনটি ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হল রাজ্য বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে এই প্রস্তাব পাশ হয়।
গত দু’দিন ধরে এই প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চলেছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন শাসকদলের বিধায়কেরা। বিরোধীরা ভোট দিয়েছেন বিপক্ষে। যদিও এই আইন কেন্দ্রে পাশ হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বক্তব্য, কেন্দ্রে পাশ হয়ে যাওয়া আইনের বিরোধিতা রাজ্য বিধানসভায় করা অর্থহীন। পরিবর্তে রাজ্যে অনুপ্রবেশ এবং ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে আইন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিরোধীদের সেই প্রস্তাব কতদূর যায় সেটাই দেখার।
একমাসে দু’বার, ফের বাড়ল দুধের দাম, চাপ বাড়ল মধ্যবিত্তের
এদিন রাজ্যে বিধানসভায় কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় বলেন, ‘‘সংসদ যেমন কেন্দ্রের আইনসভা, বিধানসভাও তেমন রাজ্যের আইনসভা। দুই জায়গাতেই আইন তৈরি করা যায়। কেন্দ্রে পাশ হওয়া কোনও আইন যদি সংশোধন করার প্রয়োজন হয়, রাজ্য বিধানসভাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান।’’
বহিরাগতদের জাল ডোমিসাইল দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিল করে প্রশাসনের দ্বারস্থ বাংলা পক্ষ
মলয় ঘটক এই প্রস্তাবটি তোলার পর শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের বিধায়কেরা এই বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য রাখেন। আলোচনার শেষে ধ্বনি ভোটের আয়োজন করা হয়। আর তাতে সহজেই পাশ হয়ে যায় ন্যায় সংহিতা বিরোধী বিল।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “‘‘যে আইন দেশে ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? দেশের আইন বলবৎ হওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব তো পড়বে না।’’।