বারবার রেল দুর্ঘটনা, সংসদে মেজাজ হারালেন রেলমন্ত্রী

একের পর এক রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বারবার সকলের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)-কে। বিরোধী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ লাগাতার…

একের পর এক রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বারবার সকলের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)-কে। বিরোধী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ লাগাতার তাঁর পদত্যাগের দাবি করছেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার সংসদে সবকিছুর সপাটে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। সেইসঙ্গে মেজাজও হারিয়ে বসেন রেলমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদের উত্তপ্ত অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, “আমরা রিল বানাই না, পরিশ্রম করার লোক।” রেল বাজেট নিয়ে আলোচনার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীরা ‘অশ্বিনী বৈষ্ণব হায় হায়’ স্লোগান তুলতে শুরু করেন। এরপরেই সকলকে জবাব দেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।

   

তিনি বলেন, “যারা এখানে চিৎকার করছেন, তাঁদের অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তারা ৫৮ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন ১ কিলোমিটার হলেও স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা বা এটিপি ইনস্টল করতে পারলেন না? আজ তারা প্রশ্ন তোলার সাহস দেখাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি দুর্ঘটনার সংখ্যা দিতেন যা ০.২৪ থেকে ০.১৯ এ নেমে এসেছিল। এখন এই লোকেরাই সংসদে হাততালি দিতেন এবং আজ যখন এটি ০.১৯ থেকে ০.০৩ এ নেমে এসেছে তখন সবাই দোষারোপ করছেন। এভাবে কি দেশ চলবে? কংগ্রেস তার সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোল আর্মির সাহায্যে মিথ্যে জিনিস দেখায়। যে ২ কোটি মানুষ প্রতিদিন রেলপথে যাতায়াত করেন, তাঁদের মনে কি ভয় ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে?”

লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আমরা যদি রেলে নিয়োগের কথা বলি – ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ আমলে রেলে মাত্র ৪ লক্ষ ১১ হাজার কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রেলে নিয়োগ করা হয়েছিল, এনডিএ-র ১০ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২ হাজার। যে সকল যুবকরা চাকরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, এখন তাঁদের জন্য বছরে চারবার শূন্যপদের ঘোষণা করা হয়। জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবর মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এখনও ৪০,৫৬৫টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যা পূরণ করা হবে।”