আচমকা সাসপেন্ড ১৮ জন BJP বিধায়ক, রাজ্যে শোরগোল

ঝাড়খণ্ডে এবার বড় ঘটনা ঘটে গেল। এবার এক ধাক্কায় ১৮ জন বিজেপি (BJP) বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। কথা খেলাপের জন্য হেমন্ত…

BJP

ঝাড়খণ্ডে এবার বড় ঘটনা ঘটে গেল। এবার এক ধাক্কায় ১৮ জন বিজেপি (BJP) বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

কথা খেলাপের জন্য হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ১৮ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিধানসভার স্পিকার ২ আগস্ট দুপুর ২টো পর্যন্ত এই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করেছেন। সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়করা হলেন অনন্ত কুমার ওঝা, রণধীর কুমার সিং, নারায়ণ দাস, অমিত কুমার মণ্ডল, নীরা যাদব, গুণকুমার দাস, কেদার হাজরা, বিরাঞ্চি নারায়ণ, অর্পণ সেন গুপ্তা, রাজ সিনহা, কোচে মুন্ডা, ভানু প্রতাপ শাহী, সামরি লাল, চন্দ্রে ভারা প্রসাদ সিং, নবীন জয়সওয়াল, ডাঃ কুশওয়াহা, শশীভূষণ মেহতা, অলোক কুমার চৌরাসিয়া এবং পুষ্প দেবী দেবী। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য গেরুয়া শিবির।

   

বিধানসভার নিয়ম না মেনে এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে এই বিধায়কদের সাসপেন্ড করেন স্পিকার রবীন্দ্রনাথ মাহাতো। জেএমএম বিধায়ক সুদিব্যা কুমার বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রস্তাব এনেছিলেন। যার আওতায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এথিক্স কমিটি এখন এই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশন পদক্ষেপের পর বিরোধী দলনেতা অমর কুমার বাউরি বলেন, ‘কংগ্রেস ও জেএমএমের নির্দেশে স্পিকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। একটা বেলেল্লাপনা ছিল। আমি সীমাবদ্ধতার মানুষ। তিনি তার আচরণ দিয়ে দেখিয়েছেন সরকার স্বৈরাচারী হয়ে গেছে।’

এদিকে বিরোধী দলনেতা বলেন, গোটা বিরোধীদের সাসপেন্ড করার এমন ঘটনা গোটা দেশে এই প্রথম। জরুরি অবস্থা জারি করা কংগ্রেস আবার কালো অধ্যায় লেখার কাজ শুরু করে।