জামাত ইসলামি নিষিদ্ধ হচ্ছে, বাংলাদেশে বোমা তৈরির পদ্ধতি ভাইরাল

Kolkata 24×7 Special:.সামাজিক মাধ্যমে বোমা তৈরির পদ্ধতি! ঝড়ের গতিতে বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই পোস্ট। এতে লেখা আছে বিস্ফোরক ভর্তি বোতল বোমা বানানের সূত্র। এই…

Kolkata 24×7 Special:.সামাজিক মাধ্যমে বোমা তৈরির পদ্ধতি! ঝড়ের গতিতে বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই পোস্ট। এতে লেখা আছে বিস্ফোরক ভর্তি বোতল বোমা বানানের সূত্র। এই বোমার পোশাকি নাম মলোটভ ককটেল। বিভিন্ন হিংসাত্মক আন্দোলনে হামলাকারীরা ব্যবহার করে। বাংলাদেশে এটি ‘ককটেল বোমা’ নামে বেশি চর্চিত। এর বহুল ব্যবহার হয় পড়শি দেশের ‘গ্যাঞ্জাম’ অর্থাৎ প্রকাশ্যে সংঘর্ষের সময়।

সোমবার বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪টি দলের জোট শরিকদের বৈঠকে জামাত ইসলামি ও তাদের শাখা সংগঠন ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। জামাত নিষিদ্ধকরণে সবুজ সংকেত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগেই বলেছিলেন, দেশে পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগে জামাত ইসলামি রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

   

সোমবার রাত থেকেই জামাত ইসলামির নেতা-সদস্য, সমর্থকদের হুঁশিয়ারি আসছিল। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ককটেল বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বোমা অর্থাত বোতল বোমা বা মলোটভ ককটেল তৈরির সূত্র-পদ্ধতি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে। এই সব গ্রুপে জামাত ইসলামির সক্রিয় উপস্থিতি আছে বলে জানাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

মলোটেভ ককটেল কী?

মলটভ ককটেল Molotov cocktail) হল পেট্রল বোমা। এ জাতীয় বোমা বিভিন্ন ধরনের কাচের বোতল ও তরল দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। সহজ প্রস্তুত প্রণালী ও তাৎক্ষনিক ভাবে তৈরি করা যায় বিক্ষোভকারীরা এই জাতীয় বোমার ব্যবহার বেশি করে। মূলত লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে ফেলার চাইতে দ্রুত তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার উদ্যেশ্যেই মলটভ ককটেল ব্যবহার করা হয়।

সোভিয়েত রাশিয়ার মন্ত্রী ছিলেন মলোটভ। তার নামেই বোমার নামকরণ। তবে মলোটভ এই বোমার আবিষ্কারক নন। ১৯৪০ সালে রাশিয়া ও ফিনল্যান্ডের সংঘর্ষের সময় ফিনল্যান্ডের গেরিলারা বোতল বোমা রুশ সেনাদের উপর ফেলত। তারাই কটাক্ষ করে রুশ বিদেশশমন্ত্রী মলোটভের নামে বোমাটির নাম করে মলোটভ ককটেল। পরে এই বোমার বহুল ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে যে কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষে মলোটভ ককটেলের বৃষ্টি হয়!

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়মের সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়ারা একজোট হয়ে আন্দোলন শুরু করে। শুরু হয় সংঘর্ষ। এই রেশ ধরে রক্তাক্ত বিক্ষোভ চলে। শতাধিক নিহত। সেনা টহল চলছে। সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের অভিযোগ, অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি এবং তাদের ঘনিষ্ঠ জামাত ইসলামিসহ বিভিন্ন উগ্র সংগঠন রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করে অভ্যুত্থানের ছক করেছিল। বিএনপি ও জামাতের দাবি, স্বৈরাচারী সরকার গণহত্যা চালাচ্ছে।

কোটা কমানোর দাবিতে তীব্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। দেখা যাচ্ছে ইন্টারনেট সচল হতেই আন্দোলন ফের ছড়াচ্ছে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, সরকার যদি গ্রেফতারি বন্ধ না করলে আন্দোলন চলবে। নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী দেশজুড়ে টহল দিচ্ছে।