১৪ বছর পর ফিরল ‘জ্ঞানেশ্বরী’-র ভয়ঙ্কর স্মৃতি, প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৪৮

ফের দুর্ঘটনা (Howrah-CSMT Express Derailment)! ফের প্রশ্নের মুখে যাত্রী সুরক্ষা। মঙ্গলবার ভোরে বারাবাম্বু স্টেশনের কাছে হাওড়া-মুম্বই মেলের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এর ২০টি…

ফের দুর্ঘটনা (Howrah-CSMT Express Derailment)! ফের প্রশ্নের মুখে যাত্রী সুরক্ষা। মঙ্গলবার ভোরে বারাবাম্বু স্টেশনের কাছে হাওড়া-মুম্বই মেলের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এর ২০টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। এই।দুর্ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে ১৪ বছর আগে ‘জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস’ দুর্ঘটনার। সেবার মৃত্যু হয়েছিল ১৪৮ জনের।

২৮ মে, ২০১০ সালের রাতে মুম্বই থেকে হাওড়াগামী জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামের কাছে হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়।

   

১৪৮ জন নিহত, ১৮০ জনেরও বেশি আহত

এর কিছুক্ষণ পরেই, একটি দ্রুতগামী পণ্যবাহী ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলিতে আঘাত করে। আতঙ্কে চেঁচামেচি শুরু করেন যাত্রীরা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৪৮ জনের বেশি যাত্রী নিহত এবং ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়।

লাইনচ্যুত হাওড়া-মুম্বই মেল, হেল্পলাইন নম্বর চালু করল রেল

তদন্তে উঠে আসে বড় তথ্য

ঘটনার তদন্তে দেখা গিয়েছে, রেলওয়ে ট্র্যাকের ফিশ প্লেটটি ইচ্ছাকৃতভাবে আলগা করা হয়েছিল, যার কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। এটাও আশঙ্কা করা হয়েছিল যে মাওবাদীরা ঘটনাস্থলের কাছে একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, যার ফলে ট্র্যাকগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

১১ সন্দেহভাজন মাওবাদীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই

সিবিআই এই দুর্ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে এবং ১১ জন সন্দেহভাজন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচার পায়নি নিহতদের পরিবার। মামলাটি এখনও বিচারাধীন।

হাওড়া-মুম্বই মেলের ২০টি বগি লাইনচ্যুত, বহু হতাহতের আশঙ্কা

মঙ্গলবারের দুর্ঘটনা আবারও রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।