চশমার গ্লাসেই কী হবে ‘ফার্স্ট-ক্লাস’ ঘুম? চমকে দেওয়া সত্যিটা জানুন!

আধুনিক লাইফ স্টাইলে আমরা সবাই মোটামুটি মোবাইল এবং ল্যাপটপের সঙ্গে সারা দিনের অধিকাংশ সময় কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি (Blue Ray Glasses) । আর এই মোবাইল…

Illustration of a person lying awake in bed at night, surrounded by a dark blue glow, with a thought bubble above their head, representing sleepless nights and insomnia.

আধুনিক লাইফ স্টাইলে আমরা সবাই মোটামুটি মোবাইল এবং ল্যাপটপের সঙ্গে সারা দিনের অধিকাংশ সময় কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি (Blue Ray Glasses) । আর এই মোবাইল কম্পিউটার ল্যাপটপ বা টিভি স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আসা ‘ব্লু-লাইট ‘ এর ক্ষতিকারক দিক কে আটকাবার জন্যই বাজারে মুড়ি-মুড়কির মত বিকোচ্ছে অ্যান্টি ব্লু লাইট চশমা (Blue Ray Glasses)।

অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন চশমা প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, তাদের লেন্সে (Blue Ray Glasses) ব্লু-লাইটের প্রভাব কম করে, চোখের সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে। অনেক কোম্পানী তো আবার একধাপ এগিয়ে ঘুমের সমস্যাতেও এই ব্লু-লাইটেকে ভিলেন বানিয়ে প্রচার করতে শুরু করেছে। কিন্তু জানেন কী, এই ধরণের চশমার আদৌ কোন উপকারিতা আছে কিনা? আসুন জেনে নেওয়া যাক , ব্লু লাইটের হাল হকিকতের খবর।

   

হিন্দুত্বের জিগির তুলে বঙ্গ-‘যোগী’ হওয়াই লক্ষ্য শুভেন্দুর ?

সাম্প্রতিক গবেষণা কিন্তু বলছে, এই ধরনের চশমার কাঁচ নিয়ে যে দাবিগুলো চশমা কোম্পানিরা করে, তার অধিকাংশটাই কিন্তু বাস্তবের থেকে অনেকটা দূরে।মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন এর করা এক যৌথ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের চশমা গুলি স্ক্রিন থেকে নির্গত ব্লু লাইট প্রতিরোধে বা আমাদের চোখের সার্বিক স্বাস্থ্য এবং ঘুমের উন্নতিতে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারছে না।

সিনিয়র রিসার্চর লরা ডাউনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই ধরনের চশমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে, কোনও স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব আমরা এখনও অবধি আবিষ্কার করে উঠতে পারিনি। এমনকী এই ধরনের লেন্স আমাদের চোখের ক্লান্তি, বা ঘুমের কোয়ালিটিকে আদৌ প্রভাবিত করে কিনা সেই তথ্য এখনও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তাই এই ধরনের লেন্স কেনার আগে বিষয়গুলো মাথায় রেখে তবেই চশমার লেন্স নির্বাচন করা উচিত। “

এই গবেষণা থেকে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সেটি হল, যে ব্লু লাইট নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, অধিকাংশ মানুষের চোখের সমস্যার ব্যাপারে এই ব্লু লাইটের কিন্তু সরাসরি কোন সম্পর্কই নেই!

বরং এই ব্যাপারে তারা আঙুল তুলেছেন ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ এর উপর! যার কারণ হলো দীর্ঘক্ষণ একদৃষ্টিতে কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের ক্লান্তি। ডিজিটাল জামানায় আমাদের প্রত্যেককেই কাজের জন্য কম্পিউটার বা মোবাইল দেখতেই হয়। আবার অবসর সময়েও আমাদের সঙ্গী সেই মোবাইলই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চোখের ক্লান্তি, মানসিক অস্থিরতার মতন বিষয়গুলি এখন যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘরে ঘরে।

কেমন থাকবে আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়া? বিরাট আপডেট হাওয়া অফিসের

ফলে এটা পরিষ্কার যে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, চশমার গ্লাস নয়, আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ক্লাসটা যতটা সম্ভব একটু কম করুন। রাতে নিজে ঘুমানোর আগে আপনার সাথে বিচ্ছেদ হওয়াটা আবশ্যিক বলছেন ডাক্তাররা। না হলে ঘুমের সাথে ঝামেলাটা একেবারে চিরকালীন বিচ্ছেদে পরিণত হতেই পারে। সেক্ষত্রে কোনও দামি লেন্স কিন্তু আপনার সাধের ঘুমকে আপনার কাছে ফেরত আনতে পারবেনা। তখন কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ আর তারসাথে ফ্রী একগাদা সাইড এফেক্ট নিয়েই রাত্রিযাপন করতে হতে পারে।