‘হিংসা ছড়ানো’ জামাত ইসলামি নিষিদ্ধ হোক প্রস্তাবে সবুজ সংকেত শেখ হাসিনার

বাংলাদেশে (Bangladesh) জামাত ইসলামি ও এই দলটির শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। সাম্প্রতিক রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরিতে জামাতের সরাসরি ভূমিকা ছিল বলে আগেই…

Bangladesh

বাংলাদেশে (Bangladesh) জামাত ইসলামি ও এই দলটির শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। সাম্প্রতিক রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরিতে জামাতের সরাসরি ভূমিকা ছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য জামাত ইসলামিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এবার দলটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

বাংলাদেশে বারবার জামাতের রক্তাক্ত হিংসাত্মক আন্দোলন হয়। প্রতিবারই বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড ও পাক সেনার মদতে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামাত ইসলামির একাধিক শীর্ষ নেতা যুদ্ধঅপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজা পেয়েছে। তবে সব অভিযোগই বানানো বলে দাবি করে জামাত ইসলামি।

   

সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, জামাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসস্থান গণভবনে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠক।

ইন্টারনেট সচল হতেই সংঘর্ষ বাংলাদেশে, পড়ুয়াদের হটাতে পুলিশের গুলি

ক্ষমতাসীন ১৪ দলের জোট শরিকদের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে সন্ত্রাস এবং নাশকতা হয়েছে এর পিছনে জামাত কলকাঠি নেড়েছে। গত ১৭ জুলাই থেকে ঢাকায় তাণ্ডব হয়েছিল। এর মূল কারিগর ছিল জামাত ইসলামি।

ক্ষমতাসীন ১৪ দলের জোট একমত জামাত ইসলামি হল ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন। নির্বাচন কমিশন যেহেতু জামাত ইসলামির রেজিস্ট্রেশন আগেই বাতিল করেছে তাই এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জামাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সময় এসেছে।

জানা গেছে বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা জামাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দেন। সর্বসম্মতিক্রমে জামাত ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব বৈঠকে পাস হয়।

হাইকোর্টের মন্তব্য ‘জাতির সঙ্গে মশকরা’, বিতর্কে হাসিনা সরকার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির (প্রধান) ড.শরিফুর রহমান বলেছেন, “ছাত্রদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে সরকার দেশে গণহত্যা চালিয়ে এক রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। ছাত্রদের আন্দোলনটি কোনো অবস্থাতেই রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না। কোটা ইস্যুতে আন্দোলনকারী ছাত্রসমাজের প্রতি দেশের শিক্ষকসমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছে।”