আমাকে প্রেসিডেন্ট বানান আর ভোট দিতে হবে না: ট্রাম্প

এবার যদি আমাকে জিতিয়ে দেন আর কোনওদিন ভোট দিতেই হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি প্রাক্তন…

এবার যদি আমাকে জিতিয়ে দেন আর কোনওদিন ভোট দিতেই হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। গত নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ ছিলেন। তার অনুগত সমর্থকদের হামলায় মার্কিন সংসদ ভবন ‘ক্যাপিটল’ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

প্রবল চাপের মুখে ক্ষমতা ছাড়লেও বিতর্কিত ট্রাম্প এবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। জনপ্রিয়তার নিরিখে কমলা কিছুটা এগিয়ে।

   

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডায় নির্বাচনী প্রচারে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেছেন, তারা যদি আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন তাহলে আর কখনও তাদের ভোট দিতে হবে না।

হামাস জঙ্গির বন্ধু হিজবুল্লাহর হামলায় রক্তাক্ত ইজরায়েলের ফুটবল মাঠ, নিহত শিশুরা

ট্রাম্প ভাষণে বলেন, ‘প্রিয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়, আপনাদের ঘর থেকে বের হতে হবে এবং ভোট দিতে হবে, আরও চার বছরের জন্য। আর কখনও এটি করতে হবে না। আপনারা কি জানেন, এটা একেবারে চূড়ান্ত করে ফেলা হবে, যাতে আপনাদের আর ভোট দেয়ার প্রয়োজন না হয়।’

ট্রাম্প কি দেশের গণতন্ত্র ধংস করার বার্তা দিলেন? এমনই প্রশ্ন উঠছে। কারণ তিনি নিজেকে একবার ‘স্বৈরশাসক’ বলে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেছিলেন ক্ষমতায় ফিরলে পড়শি দেশ মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিতে চান। এই কাজটি করতে একদিনের জন্য হলেও স্বৈরশাসক হবেন। পরে বিতর্ক তৈরি হতেই তিনি এই মন্তব্যকে কৌতুক বলে উড়িয়ে দেন।

সকাল সকাল সুখবর! বাংলার ১০ জেলায় কমল পেট্রোলের দাম

এবার ট্রাম্পের দাবি জয়ী হলে আর ভোট দিতে হবে না! দুনিয়ার অন্যতম পুরনো গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকায় তিনি কি স্বৈরতন্ত্র আনতে চান এই প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি জনসভায় ট্রাম্পকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। এরপর থেকে তীব্র ভাষায় ভোটের প্রচার করছেন ট্রান্স। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ভোট থেকে সরিয়ে দিয়েছে ডেমোক্রাট দল। নরমপন্থী বাইডেনের বদলে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করা হয়। দেখা যাচ্ছে কমলা ক্রমে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন।