পাড়ায় দাদাগিরি, মহিলাকে ঠাটিয়ে চড়! তৃণমূল নেতাকে জেলে ঢোকাল পুলিশ

‘দুয়ারে সরকার’। ‘পাড়ায় সমাধান’। তৃণমূল (TMC) সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে এগুলি অন্যতম। কিন্তু তা বলে ‘পাড়ায় দাদাগিরি’ ? গত কয়েক মাস ধরে সেই চিত্রই ধরা…

‘দুয়ারে সরকার’। ‘পাড়ায় সমাধান’। তৃণমূল (TMC) সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে এগুলি অন্যতম। কিন্তু তা বলে ‘পাড়ায় দাদাগিরি’ ? গত কয়েক মাস ধরে সেই চিত্রই ধরা পড়ছে বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। উত্তরের রায়গঞ্জ থেকে দক্ষিণের কামারহাটি সর্বত্রই ছবিটা এক। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় কালনায় তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমিকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের কালনার শ্বাসপুরের দেবনাথ পাড়ায় ঝামেলা চলছিল। এলাকার এক মহিলার বাড়ির লাগোয়া ওই জমিতে পাঁচিল তুলে ঘিরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদ করলে মহিলাকে নিগ্রহ করেন কালনা শহর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারি ও তাঁর দলবল।

   

গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক মহিলাকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা। এর পাল্টা ওই মহিলা-সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে মারছেন। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি kolkata24x7।

সবজি বাজার আগুন, মহার্ঘ মাছ-মাংস, মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ

আক্রান্ত মহিলা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে একটি জমি রয়েছে। সেই জমি ওরা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলছিল। তা নিয়েই ঝামেলা হয়। শুক্রবার গোপাল এবং তাঁর দলবল আমার শাশুড়িকে মারধর করেছিলেন। শনিবার বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার বাড়ির অন্যদের মারধর করে। আমাকে থাপ্পড় মারা হয়।

এদিকে গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, তিনি নিজের কেনা জায়গায় পাঁচিল দিয়েছিলেন। সেই পাঁচিলটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি কাউকে মারধর করেননি। পাঁচিল ভাঙার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ কালনা শহর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারির।

ফের বাংলায় ভোট? পুজো মিটলেই ১৫ পুরসভায় নির্বাচনের সম্ভাবনা

তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত মহিলা। শনিবার রাতে গোপালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তথা কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, আইন কারও হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।