‘বেল বাজিয়ে স্টপ, মমতার লেটেস্ট ঢপ’, মমতাকে তীব্র কটাক্ষ তথাগতর

নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে চমকে গিয়েছে দেশ। দিল্লিতে হওয়া নীতি অযোগের বৈঠকে নাকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলতে দেওয়ার…

নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে চমকে গিয়েছে দেশ। দিল্লিতে হওয়া নীতি অযোগের বৈঠকে নাকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগকে ঘিরে এখন রীতিমতো সরগরম হয়েছে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশীয় রাজনৈতিক মহল। আর এই নিয়েই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy)।

এমনিতে বিজেপির এই পোড় খাওয়া নেতা বরাবরই নিজের চাঁচাছোলা মন্তব্য নিয়ে শিরোনামে থাকেন। এবারও সেটার ব্যতিক্রম ঘটল না। নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও নীতি আয়োগ থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা মমতাকে এক কথায় ‘মিথ্যেবাদী’-র তকমা দিয়েছেন। বাদ গেলেন না তথাগত রায়ও। তিনি আজ রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতাকে ঢপবাজই বললেন।

   

বিজেপির এই নেতা এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন, ‘বেল বাজিয়ে স্টপ, মমতার লেটেস্ট ঢপ।’ উল্লেখ্য, দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বৈঠকে তাঁকে নাকি অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্য সরকারগুলির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয়।’ তিনি সভায় বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন তবে তাকে কেবল পাঁচ মিনিটের জন্য কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে শুরু করে শরিক দোলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের ১০-২০ মিনিট কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মমতার অভিযোগ, তাকে সেই সময়টুকু অবধি দেওয়া হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনিই একমাত্র বিরোধী সদস্য যিনি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এটা আপত্তিকর। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘আমি কথা বলছিলাম এবং হঠাৎ আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় । আমি বললাম, আমাকে বাধা দিলে কেন, বৈষম্য করছ কেন। আমি সভায় উপস্থিত আছি, আপনার খুশি হওয়া উচিত, পরিবর্তে আপনি আপনার দল এবং আপনার সরকারকে আরও বেশি করে জায়গা দিচ্ছেন। বিরোধী দলে আমিই একমাত্র ব্যক্তি এবং আপনি আমাকে কথা বলতে বাধা দিচ্ছেন। এটা শুধু বাংলার অপমান নয়, সব আঞ্চলিক দলেরই অপমান।’