জম্মু ও কাশ্মীরে লাগাতার জঙ্গি হামলা রীতিমতো রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের। ভারতীয় সেনা তরফে একের পর এক জঙ্গি দমন অভিযান চালালেও রক্তক্ষরণ যেন কিছুতেই বন্ধ হতে চাইছে না। জঙ্গিদের হামলার বলি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেনা জওয়ানদেরও। তবে এসবের মাঝেই বিরাট পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এক প্রকার অ্যাকশন মুডে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। আনা হলো কয়েক হাজার বিএসএফ (BSF) জওয়ানকে।
রীতিমতো অন্য রাজ্য থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ২০০০ জন মতো বিএসএফ জওয়ানকে পাঠানো হলো। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে একটি নির্দেশিকা পেয়েছে বিএসএফ। সূত্রের খবর, ওড়িশা থেকে জম্মুতে ২ হাজার বিএসএফ জওয়ান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হামলার মোকাবিলার লক্ষ্যে এটিকে কৌশলগত পদক্ষেপ বলে মনে কড়া হচ্ছে ।
সম্প্রতি জম্মু অঞ্চলে একের পর এক জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লাগাতার জঙ্গি হামলার ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির। এতদিন ওড়িশায় নকশাল বিরোধী অভিযানে যুক্ত এই দুই ব্যাটেলিয়নই এখন জঙ্গি অধ্যুষিত জম্মু অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে খবর।
এমনিতে বিএসএফ জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটের সাথে ২,২৮৯ কিলোমিটারেরও বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত সহ ভারতের পশ্চিম অংশে পাহারা দেয়। এদিকে জম্মু অঞ্চলটি এই সীমান্তের ৪৮৫ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে, যা ঘন বন এবং পার্বত্য অঞ্চল দ্বারা বেষ্টিত। বর্তমানে জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রায় এক ডজন বিএসএফ ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন রয়েছে। তবে আরও বিএসএফ জওয়ানকে চাইছে কেন্দ্রীয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছর রাজৌরি, পুঞ্চ, রিয়াসি, উধমপুর, কাঠুয়া এবং ডোডা জেলায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় ১১ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং একজন গ্রাম প্রতিরক্ষা রক্ষী সদস্য সহ ২২ জন নিহত হওয়ার পরে জম্মু অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত মাসে কাঠুয়া ও ডোডা জেলায় দু’টি এনকাউন্টারে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়।